,

টমটমটি ছিনিয়ে নিতে না পারায় চালককে হত্যা

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার চাঞ্চল্যকর টমটম চালক হত্যা মামলার আটক এজাহারভুক্ত আসামী দশম শ্রেণির ছাত্র বিল্লাল মিয়া (১৯) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গতকাল বুধবার বিকালে তাকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে প্রেরণ করলে ৩ ঘন্টাব্যাপী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাত ১০টায় কোর্টস্টেশন থেকে পাইকপাড়া যাওয়ার জন্য আনোয়ারপুর গ্রামের মাহতাব আলীর পুত্র টমটম চালক সাবাজ মিয়া (২৫) কে ভাড়া নেয় ঘাতক বিলাস সহ আরও ২ যুবক। পথিমধ্যে তাকে মারপিট করে টমটমটি ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সাবাজ তাদেরকে চিনে ফেলে। এ কারণে ঘাতকরা তাকে গামছা দিয়ে পেছিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং লাশ গুম করার জন্য আরেকজনকে খবর দেয়। ওই ঘাতক মোটর সাইকেল দিয়ে এসে ধুলিয়াখাল বাইপাস এলাকায় একটি ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ওই এলাকায় টহলরত পুলিশ বিষয়টি আচ করতে পারে। এ সময় ঘাতকরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে মোটরসাইকেল সহ বিলাসকে আটক করে এবং তার কথা মতো আরও ২ জনকে আটক করা হয়। পরে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিলাস এ হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এসআই জুয়েল গত মঙ্গলবার সকালে লুকড়া গ্রাম থেকে বিল্লাল মিয়াকে আটক করে। সে রিচি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় সাবাজের পিতা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। কোর্ট ইন্সপেক্টর আল আমিন জানান, বিল্লাল ঠান্ডা মাথায় লোমহর্ষক হত্যার ঘটনা বর্ণনা দেয় এবং তাদেরকে চিনে ফেলার কারণেই সাবাজকে হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু পুলিশ তাদের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিল।


     এই বিভাগের আরো খবর