,

অসাধু বিদ্যুৎ কর্মচারীদের সহযোগীতায় শহরের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে অর্ধ শতাধিক অবৈধ টমটম গ্যারেজ

প্রকৌশলী বললেন, বার বার অভিযান করেও দমন করা যাচ্ছে না

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাঙ্গের ছাতার মত গড়ে উঠেছে অবৈধ টমটম গ্যারেজ। এসব গ্যারেজে অবৈধ ভাবে প্রতিদিন হাজারেরও বেশী টমটম চার্জ করা হয়। ফলে একদিকে যেমন সরকার হারাচ্ছে হাজার হাজার টাকার রাজস্ব অন্যদিকে অপরিকল্পিত ঝুকিঁপূর্ণ ভাবে চোরাই বিদ্যুৎ ব্যবহারের গ্যারেজ করায় প্রায় প্রতিনিয়তই ঘটছে দূর্ঘটনা বাড়ছে বিদ্যুৎ ঘাটতি। অভিযোগ রয়েছে বিদ্যুৎ অফিসের কিছু অসাধু কর্মচারীদেরকে ম্যানেজ করেই তারা বহাল তবিয়তে এসব ব্যবসা করে যাচ্ছে। গতকাল শনিবার সরেজমিনে শহর ঘুরে দেখা যায়, ২নং পুল, বড়বহুলা, পৌদ্দারবাড়ী, এড়ালিয়া, নাজিরপুর, আলম বাজার, গরুর বাজার, যশেরআব্দা, শ^শানঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৫০টি টমটম গ্যারেজে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লাইন থেকে চোরাইভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় ওই লাইন গুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে খুবই নি¤œ মানের সরঞ্জাম। যেকোন সময় এ থেকে অগ্নিপাতের সুত্রপাত ঘটতে পারে  প্রাণহানী। মাঝে-মাঝে কর্তৃপক্ষের লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করলেও ধরা-ছোয়ার বাইরে থেকে যায় নির্ধারিত অসাধু গ্যারেজ ব্যবসায়ীরা। একটি বিশেষ সমিক্ষায় লক্ষ্য করা যায় যে, প্রতিটি টমটম একবার চার্জে ৫০ টাকার বিদ্যুৎ খরচ হলে একটি গ্যারেজে প্রায় ২০টি টমটম চার্জ করা হলে এরকম শহরের প্রতিদিন প্রায় ১৫/২০ হাজার টাকার চোরাই বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন এসব জাতীয় শত্রুরা। নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন গ্যারেজ ব্যবসায়ী বলেন, আমরা গ্যারেজ ব্যবসা করি ঠিকই, তবে এ টাকা আমরা একা ভোগ করি না। আমাদের সাথে বিদ্যুৎ কর্মচারীরাও জড়িত। তারাই অভিযানের আগে আমাদের সটকে পড়ার পরামর্শ দেন। আমরা তাদের কালো তালিকায় অর্šÍভূক্ত। সুত্র জানায়, রায়হান মিয়া, মনির হোসেন, বাছির মিয়া, নুরুল ইসলাম, নুরুল আমিন, আবুল হোসেন, বিলাল মিয়া, আশিক মিয়াসহ আরও বেশ কয়েকজন এসব গ্যারেজ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন জানান, বার বার আমরা ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে আটক করে জেল জরিমানা করলেও তারা থামছে না। কিছুদিন পর আবারও শুরু করে এসব অবৈধ গ্যারেজ ব্যবসা। তবে এই অসাধু ব্যবসায়ীরা খুবই চালাক, মধ্যরাতে সংযোগ দিয়ে ভোর হবার আগেই সংযোগ খুলে ফেলে। আমাদের কোন নৈশ টিম না থাকায় তাদের ধরা সম্ভব হচ্ছে না। এই কারনে ট্যান্সফরমার ও লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে।


     এই বিভাগের আরো খবর