,

হবিগঞ্জে ৪ ঘন্টা আটক রাখার পর অভিভাবকদের জিম্মায় মুক্তি

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার হাতিরথান গ্রামের ও পাশ^বর্তী চাঁনপুর গ্রামের প্রেমিক যুগল সাতছড়িতে আমোদফুর্তি করতে গিয়ে ধরাশায়ী হয়েছে। পরে ৪ ঘন্টা আটক রাখার পর মুছলেখা রেখে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে সর্বত্র রসালো আলোচনার ঝড় বইছে। জানা যায়, হাতির থান গ্রামের মুদি দোকানদার সরমুজ আলীর পুত্র ঐতিহ্যবাহী তরপ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্র শামছু মিয়া সাথে পাশ^বর্তী চাঁনপুর গ্রামের আরজু মিয়া কন্যা একই স্কুলের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী রিমা আক্তারের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। সেই সুবাদে প্রায়ই তারা স্কুল ফাকিঁ দিয়ে বিভিন্ন স্থানে আনন্দ ভ্রমনে যেত। গতকাল বুধবার দুপুরে আবারও স্কুল ফাঁকি দিয়ে তারা রশিদপুর চা বাগানের নির্জন স্থানে আমোদফুর্তিতে লিপ্ত হয়। এ সময় বিষয়টি স্থানীয় লোকজন আঁচ করতে পেরে তাদেরতে হাতে-নাতে আটক করে বাহুবল থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে। এদিকে, স্থানীয় লোকজন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানকে জানালে তিনি আটককৃতদের অভিভাবকদেরকে ঘটনাস্থলে পাটান। পরে চাঁনপুর গ্রামের খলিফা আলাল মিয়া ও তাদের পিতা বিষয়টি সসাধান করে মুছলেখা দিয়ে ছাড়িয়ে আনেন। তবে ওই সময় কয়েকজন সাংবাদিক সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে বাহুবল থানার ওসি কামরুজ্জামান জানান, কোন অভিযোগ না থাকায় আটকদেরকে অভিভাবকদের জিম্মায় ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন আমাকে ফোন দিলে আমি অভিভাবকদেরকে বিষয়টি জানাই এবং তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের নিয়ে আসেন’।


     এই বিভাগের আরো খবর