,

বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ পেশাদার নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

জুয়েল চৌধুরী ॥ চুনারুঘাট উপজেলার সীমান্ত দিয়ে যেসব মাদক আসে এর মধ্যে গাঁজার পরিমাণ থাকে সবচেয়ে বেশি। স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ৩৭ কিলোমিটার ভারতীয় সীমান্তের মধ্যে মাদকের সবচেয়ে বড় স্পট চিমটিবিলের ৭১ থেকে ৭৪ নম্বরসহ গুইবিলের ৬৮ থেকে ৭১ নম্বর পিলার এলাকা। এ এলাকা দিয়েই মাদক দেশে প্রবেশ করে। সীমান্ত ইউনিয়ন গাজীপুরের সাদ্দাম বাজার। চিমটিবিল খাস পাড়াকে স্থানীয়রা বলে গাঁজার গ্রাম। এই গ্রামের প্রায় ২০ জন মাদক কারবারের গডফাদার। পুলিশের খাতায় মাদক কারবারে জড়িত দুই শতাধিক ব্যক্তির নাম রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ফলে এলাকায় চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল ১৭ জানুয়ারি চুনারুঘাট থেকে ৭৫ কেজি গাঁজা ও মাদক ব্যবসার কাজে ব্যবহৃত ২ টি মটর সাইকেলসহ এক পেশাদার নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৯। সকাল সাড়ে ৮টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-০৯, সিপিসি-১, হবিগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল লেঃ কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান ও এএসপি-আব্দুল্লাহ-আল-নোমান এর নেতৃত্বে চুনারুঘাটের ৩নং দেওরগাছ ইউনিয়েনর ৩নং ওয়ার্ডের পলাতক আসামী আব্দুল হাই (৩৫) এর টিনশেড বিল্ডিং ঘরের ২য় রুমের উত্তর কর্ণারে এবং পলাতক আসামী কাউছার (২৫) এর বসত বাড়ী থেকে উল্লেখিত মাদক উদ্ধার করা হয়। এ সময় পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী-মোঃ আব্দুল হাইয়ের স্ত্রী মোছাঃ রোকেয়া খাতুন (২৮) কে গ্রেফতার করে। র‌্যাব জানায়, উদ্ধারকৃত আলামত ও গ্রেফতারকৃত আসামীকে চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। এরা সাধারণত গাঁজা, ফেনসিডিল, মদ ও ইয়াবা ভারত থেকে এনে সাদ্দাম বাজারের আশপাশে জড়ো করে। পরে বিজিবি-পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সাদ্দাম বাজার-ইকরতলী-আমরোড বাজার ও সাদ্দাম বাজার-ইকরতলী-ছাতারল্যান-চন্ডিমাজার হয়ে ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়ক দিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাচার হয়। আইন-শৃঙ্খলার বাহিনী সূত্র জানায়, এই উপজেলার ওপারে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য। সেখানে প্রচুর গাঁজা চাষ হয়। সেগুলোই চুনারুঘাটের রেমা, বাল্লা, চিমটিবিল, গুইবিল, সাতছড়ি সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে। খুচরা মাদক কারবারিদের নিয়ন্ত্রণ করে প্রভাবশালীরা। তারা সংখ্যায় প্রায় ৫০ জন। মাদক কারবারে পুঁজি বিনিয়োগ করেছে এলাকার প্রভাবশালী হাতেগোনা কয়েকজন। তারা মাঝেমধ্যে পুলিশ, বিজিবি, ডিবি ও র‌্যাবের হাতে ধরা পড়লেও কিছুদিনের মধ্যেই জেল থেকে জামিনে বের হয়ে আবার পুরনো পেশায় জড়িয়ে পড়ে। চা বাগানের কিছু শ্রমিকও মাদক বহনসহ খুচরা বিক্রি করে।


     এই বিভাগের আরো খবর