,

নবীগঞ্জে আলোচিত সবজি বিক্রেতা লিটন হত্যাকান্ড!

জিলকার আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জে আলোচিত সবজি ব্যবসায়ী লিটন মিয়া (৪৮) হত্যা মামলার গ্রেফতারকৃত আসামী জিলকার মিয়া ওরপে দিলকার গত শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। ২ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করলে সে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। এছাড়া মামলার প্রধান আসামী দু’সহোদর জুবেল মিয়া ও রুবেল মিয়াকে শুক্রবার বিজ্ঞ আদালতে হাজির করলে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যসমত গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের পুত্র লিটন মিয়া ইনাতগঞ্জ বাজারের প্রতিষ্টিত সবজি ব্যবসায়ী। বিগত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে ব্যবসা বন্ধ করার পর আর বাড়ি ফিরেনি। নিখোঁজের ৩ দিন পর ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টায় নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা গ্রামের ভিতর দিয়ে বিবিয়ানা নদীতে (মরা নদী) স্থানীয় লোকজন ভাসমান অবস্থায় লিটন মিয়ার লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডালিম আহমেদ, ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ কাওসার আলমসহ একদল পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করেন। এ ব্যাপারে বিগত ২০ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে নবীগঞ্জ থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা নং ১৬, তাং ২০-০৯-২০২২ইং দায়ের করেন নিহতের ভাই সালেহ আহমদ। এদিকে মামলা দায়ের করার ৪১ দিন এবং ঘটনার ৪৪ দিন পর বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা নবীগঞ্জ থানার এসআই রাজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এবং অফিসার ইনচার্জ ডালিম আহমদের দিক নির্দেশনায় এবং র‌্যাবের সহযোগিতায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত সুত্রধরে মামলার প্রধান আসামীসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফলে সবজি ব্যবসায়ী হত্যাকান্ডের মামলার এজাহার নামীয় সকল আসামীই পুলিশের কাচাঁয়। আসামী জিলকার মিয়া ওরপে দিলকার মিয়াকে পুলিশ আদালতে প্রেরন করেন ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২ দিনের রিমান্ড শেষে গত শুক্রবার (১১ নভেম্বর) জিলকার মিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সিফাত উল্লার আদালতে হাজির করলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করে। এতে গুরুত্বপুর্ণ অনেক তথ্য, হত্যাকান্ডে সংশ্লিষ্টতার নাম এবং ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করতে অপারকতা প্রকাশ করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজিবুর রহমান। গত ৯ই নভেম্বর রাতে র‌্যাবের সহযোগিতায় বান্দরবন (রাঙামাটি) থেকে মামলার প্রধান আসামী দু’ সহোদর একই গ্রামের কাছু মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (৩০), জুবেল মিয়া (২৮)কে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার সকালে তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার বাদী সালেহ আহমদ অভিযোগ করে বলেন, ইনাতগঞ্জ ইউপি মেম্বার দেলোয়ার হোসেন দিলবার ঘটনার আগ মুহুর্তে স্থানীয় মুছি বাড়ী গিয়ে নিহত লিটন মিয়াকে নিয়ে মদ্যপান করেন। ফলে হত্যাকান্ডের সাথে ওই মেম্বারের হাত থাকতে পারে। এ ব্যাপারে পুলিশের দৃষ্টি কামনা করছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর