,

বাহুবলে এনআইডি-পাসপোর্ট জালিয়াত চক্রের মুলহোতা আলমগীরের দৌড়ঝাঁপ

স্টাফ রিপোর্টার : বাহুবলে ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জন্মনিবন্ধন, এনআইডি ও পাসপোর্ট তৈরি করে অবৈধভাবে বিদেশে নারী পাচার চক্রের মুলহোতা আলমগীর মিয়া নিজেকে রা করতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। তাকে খুঁজছে পুলিশ। এরই মাঝে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তিকে টাকার বিনিয়ে ম্যানেজ করে বাদী আরজু মিয়াকে চাপ প্রয়োগ করে সুলতানা আক্তার নামে তৈরি করা জন্ম নিবন্ধন, এনআইডি ও পাসপোর্টের তথ্য সার্ভার থেকে মুছে ফেলার কথা বলে বাদি আরজু মিয়ার কাছ থেকে ৩০ দিনের সময়ও নিয়েছেন।
আলমগীর জন্মনিবন্ধন ও এনআইডির সব সকল তথ্য মুছে ফেলার জন্য ৩০ দিনের সময় নিয়েছে। যদি না পারে তাহলে মামলা চলবে। অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা বাহুবল থানার এস আই ফারুক আহমেদ বলেন, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আলমগীরকে খোঁজা হচ্ছে। একই বিষয়ে অভিযুক্ত আলমগীর মিয়ার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।
উল্লেখ্য, গত ২৪ নভেম্বর আরজু মিয়া নামে একব্যক্তি আলমগীরের বিরুদ্ধে বাহুবল মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আলমগীর মিয়া এনআইডি ও জন্ম নিবন্ধনের অনলাইন আবেদনের কাজ করে থাকেন। সেই সুবাধে আরজু মিয়া তার মেয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র করে তৈরি করে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র আলমগীর মিয়ার কাছে দেন। এক পর্যায়ে তিনি জানতে পারে, তার মেয়ের নাম পরিবর্তন করে তার বাবা-মা ও ঠিকানা ব্যবহার করে অন্য মেয়ের এনআইডি কার্ড করে ঐ এনআইডি কার্ড দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন করা হয়েছে। এর কিছুদিন পর গত ২২ নভেম্বর বাহুবল মডেল থানার এস আই মোঃ শাহজাহান স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ ফুল মিয়াকে সাথে নিয়ে সুলতানা আক্তার নামে এক মেয়ের পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে তার বাড়িতে যান। এই নামে তার কোন মেয়ে না থাকা সত্ত্বেও কিভাবে পাসপোর্টে তার নাম ঠিকানা ব্যবহার হলো এটা নিয়ে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এসময় তিনি আলমগীর মিয়ার কাছে গেলে “এটা কোন ব্যাপার না ” বলে এড়িয়ে যায় সে।


     এই বিভাগের আরো খবর