,

জীবিত মানুষকে মৃত বানিয়ে আদালতে মিথ্যা তথ্য প্রদান সাজা পেলেন বাহুবলের বাদী ও আসামিরা

জুয়েল চৌধুরী : বাহুবল উপজেলার চলিতারআব্দা নোয়াগাঁও গ্রামে একটি মারামারি মামলায় জীবিত মানুষকে মৃত বানিয়ে ভুল তথ্য দেয়ার অভিযোগে বাদি ও আসামি উভয়পকেই কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। এ ঘটনা নিয়ে সর্বত্র তোলপাড় চলছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জের বিজ্ঞ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ এ রায় দেন।
দণ্ডিতরা হল, ওই গ্রারেম মৃত ইন্তাজ মিয়ার ছেলে বাদি আমির হোসেন, একই গ্রামের মফিজ উল্লার ছেলে আসামি আব্দুল হাইদ ও ফরিদ মিয়া এবং তার ছেলে নুরুজ্জামান মিয়া। পেশকার আব্দুল হামিদ জানান, নোয়াগাঁও গ্রামের আমির হোসেন ও মফিজ উল্লার মধ্যে মারামারি হলে আমির হোসেন ২০২০ সালের ১৬ আগস্ট মামলা দায়ের করেন। ২১ সালের ২০ জানুয়ারি আদালতে আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয় এবং বেশ কয়েকটি সাক্ষির তারিখ অতিবাহিত হয়। গত ১৩ অক্টোবর সাীদের আদালতে হাজির থাকার তারিখ ছিলো। কিন্তু সেদিন বাদীর শাশুড়ির মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে সাক্ষী হাজির না করে আদালতে ভুল তথ্য দেয়। দুই পক্ষের দুই রকম তথ্যে বিভ্রান্ত হয়ে আদালত এ বিষয়ে তদন্তের জন্য বাহুবল মডেল থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। পুলিশের তদন্তে প্রমাণ হয় যে বাদীর শাশুড়ি এখনও জীবিত এবং সুস্থ আছেন। ফলে উভয়পক্ষের দেওয়া তথ্য মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এরপর গতকাল মঙ্গলবার মামলার রায়ে বাদী আমির হোসেনকে ৩ দিন ও আসামি আব্দুল হাইদ, ফরিদ মিয়া ও নুরুজ্জামান মিয়াকে একদিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত ৪ জনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর