,

সদর হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্স চালকদের নৈরাজ্য :: ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস ডিসির

স্টাফ রিপোর্টার : হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্সগুলোর অধিকাংশেরই কাগজপত্র মেয়াদোত্তীর্ণ। তবুও ট্রাফিক পুলিশের কিছু অসাধু সদস্যদের ম্যানেজ করে এগুলো চালানো হচ্ছে।
খবর নিয়ে জানা গেছে, সদর হাসপাতালে অর্ধশতাধিকেরও বেশি এ্যাম্বুলেন্স আছে। আবার সরকার নাভানা, লাইটেসসহ লক্কর ঝক্কর বিভিন্ন ছোট যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও এগুলোকে তারা অবৈধভাবে রোগীবাহী এ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে ব্যবহার করছে। ফলে প্রায় সময়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
কয়েকজন এ্যাম্বুলেন্স চালক জানায়, তাদের কাগজপত্র মেয়াদোত্তীর্ণ ঠিকই, তবে ট্রাফিক পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। কোনো কোনো সময় তাদের অবাধ্য হলে দুই একটি মামলা দেয়া হয়।
গতকালও দেখা যায়, এসব অবৈধ এ্যাম্বুলেন্স চালকরা রোগীবাহী প্রাইভেট গাড়িগুলোকে বাঁধা দিচ্ছে। সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি তাদের নজরে এলে সাংবাদিকদের দেখে নেয়ারও হুমকি দেয়া হয়। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন যদি ট্রাফিক পুলিশ ঠিকমতো কাগজপত্র দেখে এ্যাম্বুলেন্সগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতো তবে সদর হাসপাতালে ১০টির বেশি বৈধ এ্যাম্বুলেন্স খুঁজে পাওয়া যাবে না।
তারা আরও বলেন, কাদের বিরুদ্ধে অবরোধ করছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নাকি হাসপাতালে আসা রোগীদের সাথে। একদিকে অবৈধভাবে সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে তোলে রোগী নিয়ে টানাটানি করা, সরকারি রেটের চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায় সিলেট-ঢাকায় রোগী নিয়ে যাওয়া, রোগীর স্বজনদের সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের। আরেকদিকে কথা নেই বার্তা নেই হুট করে অবরোধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায় আমিনুল ইসলাম সরকার জানান, হাসপাতালে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং নিষেধ। এ ছাড়া যদি চালকরা লাশবাহী গাড়ি বা রোগীবহনকারী গাড়ি আটক করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে ট্রাফিক ইন্সপেক্টরকে বারবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ না করে কেটে দেন।
জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান, রোগীবাহি গাড়ি আটকানোর বিষয়টি দুঃখজনক। অবরোধ করতে কারো বাঁধা নেই। রোগী বা লাশবাহী গাড়ি যদি আটকানো হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর