,

বাংলাদেশের ফায়সালা রাজপথেই হবে বিএনপি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিবে :: হবিগঞ্জে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন- বাংলাদেশ যাবে কোন পথে ফায়সালা হবে রাজপথে। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের ফায়সালা রাজপথেই হবে। আওয়ামীলীগকে ক্ষমতা থেকে সড়িয়ে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে বিএনপি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিবে। সেই পর্যন্ত আমরা রাজপথে আছি, রাজপথেই থাকবো।
তিনি গতকাল শনিবার বিকালে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে অধীনস্থ আদালত ও সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবী মামলায় নির্বিচারে গ্রেফতার, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং ১০ দফা দাবিতে এই জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবশে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল আরও বলেন- মানুষ বাজারে গেলে কাঁন্না পায়। মানুষ দ্রব্যমূল্যের চাপে অস্থির। আওয়ামীলীগ মন্ত্রীদের চালকল আছে, এ জন্য চালের দাম কমছে না। আওয়ামীলীগের বাণিজ্য মন্ত্রী একজন ব্যবসায়ী, এ জন্য বাজারে জিনিসপত্রের দাম কমে না। যারা শিয়ার মার্কেট লুট করেছে তারাই এখন ক্ষমতায়। এই কথাগুলো আওয়ামীলীগের একজন মন্ত্রী বলেছেন। তাই আমাদেরকে আর নতুন করে কিছু বলার প্রয়োজন হয় না। আওয়ামীলীগ সরকার বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি তৈরী করেছে তাতে সাধারণ মানুষের জীবনে দুর্বিষহ অবস্থা তৈরী হয়েছে। এই অবস্থা থেকে মানুষ পরিত্রান চায়, মানুষ বাঁচতে চায়।
তিনি বলেন- মুক্তিযুদ্ধের মুল অঙ্গিকার ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র, এই জায়গা থেকে মানুষ বঞ্চিত হয়েছে আওয়ামীলীগের শাসন আমলে। সারা পৃথিবী বাংলাদেশকে যে অপদস্থ করেছে তার জন্য আওয়ামীলীগ সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়ী। আওয়ামীলীগের কুর্কীতির কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা কড়াকড়ি আরোপ করেছে। আমেরিকা পৃথিরীর যতগুলো দেশে স্যাংসন দিয়েছে, সব দেশে যারা ভোটের সাথে জাড়িত তাদেরকে স্যাংসন দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপরে, মন্ত্রীদের উপরে, ভোটের কাজে যারা নিয়োজিত তাদের উপরে। এতেই বুঝা যায় বাংলাদেশকে আওয়ামীলীগ কোন জায়গায় নিয়ে গেছে। এই অবস্থা থেকে দেশকে ফিরত আনতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে আন্দোলনের বিকল্প নেই।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ সাখাওয়াত হাসান জীবন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি এড. শামছু মিয়া চৌধুরী, এড. মঞ্জুর উদ্দিন শাহীন, গোলাম মোস্তফা রফিক, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মিজানুর রহমান চৌধুরী, এড. হাজী নুরুল ইসলাম, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ দিপু, জেলা বিএনপির সদস্য এম জি মোহিত, মুজিবুল হাসান মারুফ, আবু সালেহ মোঃ শফিকুল ইসলাম, আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার আব্দাল, মহিবুল ইসলাম শাহীন, কামাল সিকদার, শাহ ফারুক আহমেদ প্রমুখ।
নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সরফরাজ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান পিয়ারা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুর রহমান সেফু, মজিদুর রহমান মজিদ, বয়াত উল্লা, মতিউর রহমান জামাল, শাহীদ আহমেদ তালুকদার, শিহাব আহমেদ চৌধুরী, আব্দুল বারিক রনি, শাহ ধারাজ আলী, জামাল চৌধুরী, রাসেল আহমেদ, মুর্শেদ আহমেদ, মনর উদ্দিন, শাহেদুল ইসলাম চৌধুরী রিপন, মইনুল ইসলাম বাচ্চু, আব্দুল হেকিম, নবীগঞ্জ পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ডাঃ আব্দুল আলীম ইয়াছিনী, যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন, ইসলাম উদ্দিন, নিপেশ দাস, মাসুক মিয়া, পিরোজ মিয়া, ওয়াছির মিয়া, দুলাল মিয়া প্রমুখ।


     এই বিভাগের আরো খবর