,

শিশু অপহরণের পর ২০ হাজার টাকায় বিক্রি :: অপহরনের তিনদিন পর নবীগঞ্জ থেকে শিশু উদ্ধার :: নবীগঞ্জের মমতা আটক

জাবেদ তালুকদার : সিলেটের গোয়াইনঘাট থেকে অপহৃত ১৪ মাস বয়সী এক শিশুকে তিনদিন পর নবীগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া শিশুটির নাম মো. শাহজাহান। সে উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের উপরগ্রামের মো. ফয়জুদ্দিনের ছেলে। সোমবার রাতে নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের সর্দারপুর গ্রাম থেকে নবীগঞ্জ থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম ও গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয় এবং শিশুটিকে অপহরণের অভিযোগে মমতা বেগম নামে এক নারীকে আটক করা হয়। পরে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের কাছে অপহৃতা শিশু ও মমতা বেগমকে হস্তান্তর করা হয়। মমতা নবীগঞ্জ উপজেলার সর্দারপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী।
জানা যায়, গত ২৭ মে গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের উপরগ্রামের মো. ফয়জুদ্দিনের বাড়ি থেকে শিশুটি নিখোঁজ হয়। এ সময় তার বাড়ির কাজের ছেলেও নিখোঁজ হয়। তাদের সন্ধান পেতে ফয়জুদ্দিন গোয়াইনঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এর পর থেকে থানা পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধারে তৎপর হয়ে ওঠে।
এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলেনের আয়োজন করে সিলেট জেলা পুলিশ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শেখ মো. সেলিম জানান, অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী জাফর নামক এক ব্যক্তি। সে তার প্রকৃত পরিচয় গোপন রেখে নিজেকে অসহায় ও অনাথ পরিচয় দিয়ে ফয়জুদ্দিনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এর পর থেকে সে ফয়জুদ্দিনের ছেলে শাহজাহানকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সে বাড়ির সবার বিশ্বস্ততা অর্জন করে। এক পর্যায়ে সুযোগ পেয়ে জাফর গত ২৭ মে বাড়ি থেকে ফয়জুদ্দিনের শিশু ছেলেকে নিয়ে নবীগঞ্জের মমতা বেগমের কাছে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে পালিয়ে যায়। পলাতক জাফরকে গ্রেপ্তারে তৎপর রয়েছে পুলিশ।
নবীগঞ্জ থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কাজের ছেলে জাফর শিশুটিকে অপহরন করে নবীগঞ্জের সর্দারপুরে মমতা বেগমের কাছে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে। প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ নিশ্চিত হয় শিশুটিকে নবীগঞ্জ থানার সর্দারপুর এলাকায় রাখা হয়েছে, পরবর্তীতে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে আমি শিশুটিকে উদ্ধার করি। এ সময় অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীকে আটক করা হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর