স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জের সম্ভাবনাময় গুঙ্গিয়াজুড়ি হাওর প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি গতকাল বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জ রশিদপুর গ্যাসফিল্ড রেস্টহাউজে যাত্রাবিরতী করেন। এরপর তিনি গুঙ্গিয়াজুড়ি হাওর প্রকল্প পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি বলেন, এ হাওরের উন্নয়নে একটি বাস্থবধর্মী প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। এ হাওরে এক ফসল নয় তিনটি ফসল চাষের ব্যবস্থা করা হবে। এতে করে এখান থেকে প্রচুর খাদ্য উৎপাদন সম্ভব। তিনি বলেন, ফসলের পাশাপাশি এ হাওরে চাষের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখা হবে। মন্ত্রী এ হাওর পরিদর্শনে গেলে, স্থানীয় শত শত লোক হাওরের উন্নয়নের জোরালো দাবি জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম হিরু, হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের সংসদ সদস্য মুনিম চৌধুরী বাবু, হবিগঞ্জ ও সিলেট জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মহিলা এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, বাহুবল উপজেলার চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সহ বিভিন্ন স্থরের নেতৃবৃন্দ। পরিদর্শন শেষে তিনি হবিগঞ্জ সার্কিট হাউজে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, হাওর উন্নয়ন বোর্ড, গুঙ্গিয়াজুড়ি হাওর উন্নয়ন বাস্থবায়ন কমিটি এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। উল্লেখ্য, গত ১৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে হবিগঞ্জ ও সিলেট জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মহিলা এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী গুঙ্গিয়াজুড়ি হাওর বাস্থবায়নের প্রয়োজনীয়তার প্রেক্ষাপট তুলে ধরলে পানিসম্পদ মন্ত্রী হবিগঞ্জে এসে এই প্রকল্প পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেন। গুঙ্গিয়াজুড়ি হাওর প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমপি কেয়া চৌধুরী বাহুবলের হিমারগাঁও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রসঙ্গটিও তুলে ধরেন। মন্ত্রীর সাথে আরো ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর আহমেদ খান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহা-পরিচালক সহিদুর রহমান। ইতিপূর্বে ড. জাফর আহমেদ খান সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার থাকাকালে গুঙ্গিয়াজুড়ি হাওর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় ১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্থবায়িত হলে এ হাওরের ২৫ হাজার একর এক ফসলি জমিতে নিশ্চিত ৩টি ফসল উৎপাদন সম্ভব হবে। বছরে আড়াইশ কোটিরও বেশি টাকা মূল্যের প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টন ধান উৎপাদন হবে। অন্যান্য ফসল উৎপাদনেরও ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হবে। বর্তমানে যে বোরো ফসল ফলানো হয় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষকরা তা যথাযথভাবে ঘরে তুলতে পারে না। সমীক্ষায় অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যুক্ত করে বাস্থবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫২ কোটি টাকা। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাদ দিলে বাস্থবায়ন ব্যয় ২শ কোটিও লাগবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
Leave a Reply