হবিগঞ্জ সংবাদদাতা ॥ হবিগঞ্জে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস-১৪ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ৩ জন কীর্তিমান নারীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে হবিগঞ্জ শহরের শ্যামলীস্থ শাইনিং স্টার মডেল স্কুলে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন কমিটি জেলা শাখা ও প্রকৃতজন-এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ আব্দুর রউফ। উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক তাহমিনা বেগম গিনির সভাপতিতেত্ব অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন আহমেদ, শাইনিং স্টার মডেল স্কুলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এবাদুল হাসান, স্কুলের অধ্যক্ষ সৈয়দা শাহীনা খাতুন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাহিত্য ও সংস্কৃতিকর্মী আছমা খানম হ্যাপী, এম.এ ওয়াহেদ ও শেখ ওসমান গণি রুমি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকৃতজন-এর পরিচালক সিদ্দিকী হারুন। আলোচনা পর্ব শেষে গ্রামীণ জনজীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ৩ জন নারীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মাননাপ্রাপ্ত নারীরা হলেন মোছাঃ কমলা বানু (গ্রামীণ ধাত্রী), মোছাঃ সুফিয়া খাতুন (শিশু শিক্ষা বিস্তার ও লাশ ধোয়ানো) এবং ফাতেমা বেগম (নারী মুক্তিযোদ্ধা)। সম্মাননা প্রাপ্তদেরকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি তাহমিনা বেগম গিনি ও সদনপত্র তুলে দেন প্রধান অতিথি মোঃ আব্দুর রউফ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আর্ন্তজাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব তোফাজ্জল সোহেল। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৮ বছরের আগে একটি মেয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে গর্ভধারণের উপযুক্ত হয়ে ওঠে না। তাই ওই বয়সের আগে বিয়ে হলে মেয়েটির শরীর ভেঙ্গে পড়ে। বর্তমানে আঠারো বছরের আগে মেয়েদের ও ২১ বছরের আগে ছেলেদের বিয়ের বয়স নির্ধারণের যে কথা হচ্ছে, আমরা আশা করছি সরকার এ উদ্যোগ থেকে সরে আসবে। এছাড়া বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলাও জরুরী।
Leave a Reply