,

চুনারুঘাটে বিশ্ব শান্তি গীতাযজ্ঞ অনুষ্ঠানে সমাজ কল্যাণমন্ত্রী বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলে মন্দিরে আগুন দেয়

সৈয়দ আখলাক উদ্দিন মনসুর শায়েস্তাগঞ্জ থেকে ॥ সমাজ কল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী বলেছেন, কোন প্রতিষ্ঠান করতে চাইলে করা যায় না। ভগবানের কাছে চাইলে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলা যায়। বগমান তার নিজ গুনে প্রতিষ্ঠান গুলো করে দেন। গত ০৫ ডিসেম্বর ১৪ ইং তারিখে তিনি চুনারুঘাট উপজেলা উবাহাটা ইউনিয়নের ছনাও শ্রী শ্রী বিশ্ব শান্তি গীতাযজ্ঞ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। সমাজ কল্যান মন্ত্রী মহসিন আলী বলেন, অজো পাড়া গায়ে যিনি আশ্রমটি প্রতিষ্ঠিত করে অমানুষদের মানুষ করার উদ্যোগ নিয়েছেন, আমি তার জন্য আর্শিবাদ করি বগমান যেন তাকে যথাযথ সম্মান দেন। তিনি হিন্দুদের পূজা র্পাবনে অহেতুক অনেক লোক আসে। তাদের কোন কান্ড জ্ঞান নেই। তারা পূর্জা মন্ডপে এসে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে। তাদের এসব অনুষ্ঠান থেকে বের করে দিতে হবে। তবে এই এলাকার মানুষ ভাল পরস্পরের সহযোগিতা করে। সমাজ কল্যান মন্ত্রী বিএনপি জোট সরকারের সমালোচনা করে বলেন, তারা ক্ষমতায় আসলে মন্দিরে আগুন দেয়। শুধু হিন্দুদের প্রতিষ্ঠানে নয়, বায়তুল মোকারমে আগুন দিয়েও কোরআন পুড়িয়েছে। তিনি অনেক সময় নিজেরাও আগুন দিয়ে অন্যকে ফাসানো চেষ্ঠা করা হয়। এ থেকে সর্তক থাকতে হবে। সমাজ কল্যান মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার আমলে হিন্দুদের অনেক মন্দির নির্মিত হয়েছে। নারী শিক্ষায় মান উন্নয়নে সরকার অনেক কিছু করেছে। তাই আবারও এই সরকারকে সুযোগ দিতে হবে। পুরো অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে বক্তব্য রাখেন। মন্ত্রীর বক্তব্য শুরু করার আগেই উপস্থিত সকল সনাতন ধর্মালম্ভীদের উলুধ্বনি দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। মন্ত্রী নির্দেশের সাথে সাথে সনাতন ধর্মালম্ভীরা উলুধ্বনি দেন। ছনাও শংকর-জৌতি মঠ ও মিশনের অধ্য শ্রীমৎ স্বামী রনজিতানন্দ গিরি মহারাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এমপি এডভোকেট মাহবুব আলী, জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতির কেন্দ্রীয় কমটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রতন ভৌমিক, মৌলভা বাজার পূর্জা উদযাপন কমিটির সভাপতি মিহির কান্ত দেব মিন্টু, সমাজ দর্পণ এর কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সদস্য বিমল চক্রবর্তী, প্রফেসার ডাঃ মৃগেন দাস চৌধুরী প্রমুখ। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ জয়নাল আবেদীন, এ.এসপি দক্ষিণ (সার্কেল) সাজ্জাত ইবনে রায়হান, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের, চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাশহুদুল কবীর, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি শংকর পাল, মনোজ কান্তি চৌধুরী প্রমুখ। এর পূর্বে সমাজ কল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী শংকর জ্যোতি মঠ ও মিশনের অনাথ আশ্রমের উদ্বোধন করেন। উল্লেখ্য সমাজ কল্যান মন্ত্রীর বেলা ১২ টার সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখা কথা থাকলেও তিনি সেখানে বিকেল ৫ টার দিকে আসেন। এতে অনেক মানুষই অপেক্ষা করতে করতে বিরক্তবোধ করে চলে যান। পরবর্তীতে তিনি সৈয়দ মহসিন আলী শংকর জ্যোতি মঠ ও মিশনের অনাথ আশ্রমের উদ্বোধন করার পর প্রায় দেড় ঘন্টা একান্তে রেষ্ট নেন। এতে বিরক্তবোধ করে অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত অতিথি জেলা পূর্জা উদযাপন কমিটি সহসভাপতি শংকর পালসহ অনেকেই চলে যান।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.