বানিয়াচং প্রতিনিধি ॥ বানিয়াচংয়ের মন্দরী গ্রামে হত্যা মামলায় জামিন পাওয়া আসামীদের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এ হামলা চালায়। তারা আসামীদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনায় আসামীরা গতকাল সোমবার স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট মোঃ আব্দুল মজিদ খানকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেছেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সামছুল হক এবং আলফি মিয়ার মধ্যে গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত ঈদুল আযহার পরদিন একটি জলাশয়ের দখলকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের লোকজনের মাঝে সংঘর্ষ হয়। এতে ২ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় শেখ সামছুল হক বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় মোট ৮১ জনকে আসামী করা হয়। সম্প্রতি আদালত থেকে মামলার বেশ কয়েকজন আসামী জামিনে মুক্তি পান। এর পর তারা বাড়িতে গেলে সামছুল হকের লোকজন তাদের উপর চড়াও হয়। এতে আতঙ্কিত হয়ে তারা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ সুযোগে প্রতিপক্ষ বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে। ওই গ্রামের রহমত আলী জানান, কয়েকদিন পূর্বে তিনি বাড়ি যাওয়ার সময় শেখ সামছুল হকের লোকজন তার উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে। এ সময় তিনি দৌড়ে আত্মরক্ষা করেন। পরে তিনি বিষয়টি সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন। হামলাকারীরা তার বাড়ি থেকে একটি সেচ পাম্প নিয়ে গেছে। আব্দুল আলী জানান, হত্যা মামলার আসামী হওয়ায় তিনি বাড়িতে না থাকার সুযোগে কয়েকদিন পূর্বে প্রতিপক্ষ তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে মালামাল নিয়ে যায়। এদিকে বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও হুমকির কারণে বাড়িতে যেতে না পেরে আলফি মিয়ার পক্ষের লোকজন গতকাল সোমবার সংসদ সদস্য এডভোকেট মোঃ আব্দুল মজিদ খানের সাথে দেখা করেন। তারা বিষয়টি সম্পর্কে তাকে অবগত করেন। তিনি বিষয়টি বানিয়াচং থানায় অবহিত করার জন্য বলেছেন। তিনি বলেন, আমি শুনেছি। আরও খোঁজ নিচ্ছি। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।