,

নবীগঞ্জে হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক সিএনজি চালককে মারধোর ॥ দেড় ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, ওসির প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি শান্ত

ছনি চৌধুরী ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি এলাকায় শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক সিএনজি চালককে মারধোর ও সিএনজি চিনিয়ে নেয়া জের ধরে ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সিএনজি চালকরা। এসময় প্রায় দেড় ঘন্টা সময় যান চলাচল বন্ধ থাকে এতে করে মহাসড়কের উভয় পাশে আটকা পড়ে কয়েক শতাধিক যানবাহন। পরে পুলিশের উর্ধ্বতর্ন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বস্থ করলে স্থানীয় উত্তেজিত সিএনজি চালকরা অবরোধ তুলে নেন। জানা যায়, শনিবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের দিঘলবাক ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের এলাইছ মিয়ার পুত্র ও আউশকান্দি স্ট্যান্ড এর সিএনজি চালক জুয়েল মিয়া(২৫) সিএনজি নিয়ে মহাসড়কস্থ আউশকান্দি এলাকার মুনিম ফিলিং স্টেশনে পেট্রোল আনতে যায়। পেট্রেল নিয়ে ফেরার পথে মহাসড়কস্থ আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজারের রাস্তার মুখে পৌঁছামাত্রই শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের টহলরত একদল পুলিশ সিএনজি হবিগঞ্জ (থ-১১৪২৪৮) আটক করে। ওই সময় গাড়ি থেকে চালক জুয়েলকে নামিয়ে বেধড়ক ভাবে মারপিট করে এবং সিএনজি চিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন চালক জুয়েল মিয়াকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এদিকে শ্রমিক জুয়েল মিয়ার উপর হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক মারধোরকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শ্রমিকরা ঢাকা সিলেট মহাসড়ককের আউশকান্দি কিবরিয়া চত্ত্বরে অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। ওই সময় উভয় পাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়লে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়ে কয়েক শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। এ সময় দেড় ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এ ঘটনার খবর পেয়ে ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী, নবীগঞ্জ থানার ওসি এসএম আতাউর রহমান, আউশকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন, শ্রমিক নেতা খালেদ আহমেদ জজ, মল্লিক মিয়ার উপস্থিতিতে হাইওয়ে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এই মর্মে আশস্থ করলে উত্তেজিত সিএনজি চালকরা অবরোধ তুলে নেন। শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি বিমল চন্দ্র ভৌমিক এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সিএনজি চালককে মারধোরের অভিযোগ অস্বীকার করেন। নবীগঞ্জ থানার ওসি এস.এম আতাউর রহমান খবর পেয়ে একদল পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত সিএনজি শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এদিকে এ বিষয়ে ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে পুলিশের এসপি রাশেদুল হক চৌধুরী’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সিএনজি চালককে হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক মারপিট এর যে অভিযোগ আনা হয়েছে এ বিষয়ে তদন্ত করে যদি আমাদের কোনো পুলিশ কর্মকর্তা সিএনজি চালককে মারধোর করে থাকে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।


     এই বিভাগের আরো খবর