,

নবীগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বদলী ও শূন্য পদের তালিকা নিয়ে শিক্ষকদের হয়রানি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের বদলী সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষকরা বিভিন্ন ভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ পুরনেও স্থবিরতা পরিলতি হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকগনের শূন্যপদের তালিকা এখনো প্রকাশ করে নোটিশ বোর্ডে টানানো হয়নি। এ ছাড়াও শিক্ষকদের বদলীর শুন্য পদে আবেদন করলেও কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করছেননা। এনিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে বাংলাদেশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি নবীগঞ্জ উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ এক সভায় মিলিত হন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নবীগঞ্জ আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি রাহেলা খানম। সভায় বিশেষ করে অত্র উপজেলার প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকগনের বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় শিক্ষকরা বলেন, এখন পর্যন্ত বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকগনের শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ করে নোটিশ বোর্ডে টানানো হয়নি। শিক্ষকদের আবেদন পত্র গ্রহণ না করার কারণেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। শিক্ষকরা আরো জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেছেন শিক্ষা অফিসার নাকি কোন সদুত্তোর না দিয়ে কাল বা পরশু শূন্যপদের তালিকা নোটিশ বোর্ডে টানানো হবে বলে আশ্বস্ত করেন। অথচ ১ জানুয়ারি থেকে বদলি কার্যক্রম শুরু করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনাসহ পরিপত্র রয়েছে।
শিক্ষকদের অভিযোগ, শিক্ষা অফিসে কিছু সংখ্যক শিক্ষকের আবেদন গ্রহণ করলেও বেশিরভাগ শিক্ষকের আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছেনা। শিক্ষা অফিসারের এহেন ভূমিকার কারণে শিক্ষকগণের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। নীতিমালা অনুযায়ী বদলি কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রধান শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে জোর দাবী জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার প্রঞ্চানন কুমার সানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শূন্যপদের তালিকা সম্পন্ন করা হয়েছে এবং তা টানানো হবে। এ ছাড়া আবেদন গ্রহণ না করার অভিযোগটি তিনি অস্বীকার করেন।
উল্লেখ্য যে, বিগত ২০১৮ সালেও একই ভাবে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বদলির কার্যক্রম বিলম্বিত করা হয়। শেষ মূর্হুতে ২৯ মার্চ নীতিমালা লঙ্গন করে বদলির আবেদন অগ্রগামী করা হয়। এ ছাড়া সময়ের অভাবে অনেকেই ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হন।


     এই বিভাগের আরো খবর