জুয়েল চৌধুরী :: রমজান মাসেও থেমে নেই হবিগঞ্জের আবাসিক হোটেলগুলোতে অসামাজিক কার্যকলাপ। শহরের প্রায় অধিকাংশ হোটেলেই দিন রাত প্রকাশ্যে চলছে যুবক যুবতীদের আনাগুনা। এরই ধারাবাহিকতায় হবিগঞ্জ শহরে গতকাল বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়েছে শ্রীমঙ্গল র্যাব-৯ এর একটি টিম। পরিচালনাকালে শহরের সিনেমা হল এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে ৩টি আবাসিক হোটেলকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা ও এক যুবককে ১০ দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। একই সাথে কলগার্ল এক কলেজ ছাত্রীর পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে মুছলেকা রেখে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। গতকাল দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাত আরা লিসা ও আনিসুর রহমান খান। এ সময় র্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেকসহ র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের একদল সদস্য উপস্থিত ছিলেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান খান জানান, অভিযানকালে শহরের সিনেমা হল রোড এলাকায় হোটেল শাপলাতে অভিযান চালিয়ে একটি কক্ষ থেকে দুই যুবক-যুবতিকে আটক করা হয়। এ সময় অবিবাহিত সত্তে¡ও অনৈতিক কার্যকলাপের দায়ে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল গ্রামের কলেজ ছাত্রী তাকমিনা (২০) ও সদর উপজেলার শৈলজুড়া গ্রামের তৌহিদ মিয়ার ছেলে রায়েল মিয়াকে (২৫) কে ১০ দিনের কারাদন্ড প্রদানের পর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া মুছলেখা রেখে মেয়েটিকে তার পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। পাশাপাশি অনৈতিক কাজে সহযোগিতা করায় হোটেল মালিক মহিবুর রহমান চৌধুরীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সময়ে সঠিক কাগজপত্র না থাকায় পার্শ্ববর্তী শিহাব হোটেলের মালিককে আরো ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অপরদিকে বিকালে সাড়ে ৩টার দিকে শহরের শ্মশানঘাট এলাকায় রোজ গার্ডেন হোটেলে অভিাযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ভোক্তা অধিকার আইন অমান্য করায় প্রতিষ্ঠানটিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম হলে আরো কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা আদায় করেন পেশকার আব্দুল বারী। তখন ওই এলাকার শত শত উৎকোচ জনতার ভিড় জমে। এ সময় দুই পাশের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জান্নাত আরা লিসা জানান, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর বিজ্ঞ জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযান নিয়মিতভাবে চলবে।