,

হবিগঞ্জে প্রেমিকার জন্মদিনে আমোদ ফুর্তি, আটক প্রেমিকের জামিন না-মঞ্জুর

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ শহরে প্রেমিকার জন্মদিনে আমোদ ফুর্তি করতে গিয়ে আটক প্রেমিকের জামিন না-মঞ্জুর করেছেন আদালত। বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে প্রেমিক যুগলের আরও অজানা কাহিনী। অনেক পাঠকরা পত্রিকা অফিসে এবং সাংবাদিকদেরকে মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন নানান তথ্য। পৈল ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী নুরজাহান বেগমের ও মাধবপুর উপজেলার বহরা গ্রামের মোঃ নুর উদ্দিনের পুত্র মৌলভী বাজার ম্যাটস কলেজের ছাত্র শাহারিয়ার চৌধুরী নাদিম (২৫) এর জন্য গতকাল মঙ্গলবার হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করলে তা না মঞ্জুর করা হয়। এদিকে, এ রসালোর কাহিনীর বেরিয়ে আসছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শায়েস্তানগর ব্র্যাক অফিস এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জলিলের কন্যা তাসলিমা আক্তার মনি (২৪) বিয়ে হয় উমেদনগর গ্রামের মিনহাজ আহমেদ নামে এক যুবকের সাথে। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। এদিকে জীবিকার তাগিতে মিনহাজ প্রবাসে চলে গেলে মনির সাথে নাদিমের পরিচয় হয় ফেসবুকের মাধ্যমে। এক পর্যায়ে এ পরিচয় পরকিয়ায় পরিনত হয়। এরপর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময় মনিকে নিয়ে নাদিম মেত উঠত রঙ্গ লীলায়। এমনকি হোটেল, রিসোর্টে করত রাত্রী যাপনও। নাদিম মনিকে একান্তভাবে কাছে পেতে কৌশলে মনি’র স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ায়। এর পর নির্বিগ্নে চলে তাদের প্রেম-প্রেম খেলা। সম্প্রতি নাদিমের অন্যত্র বিয়ের আলোচনা চললে বিষটি মনি আঁচ করতে পেরে নাদিমকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। কিন্তু সে তাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। মনি কৌশলে তাকে ধরার জন্য ফাঁদ ফাতে গত শনিবার রাতে ভুয়া জন্ম দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নাদিমকে আমন্ত্রণ জানায়। নাদিম এসে খাওয়া-দাওয়া শেষে ওই দিন রাতে একটি রুমে আমোদ অনৈতিক কাজে লিপ্ত হলে স্থানীয়রা তাদের হাতে-নাতে আটক করে হবিগঞ্জ সদর থানায় সোপর্দ করে। বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় মনি বাদী হয়ে নাদিমের উপর ধর্ষনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। প্রেমিক যুগলকে আদালতে সোপর্দ করলে সেখানেও সমাধান না হওয়ায় মনি তার নিজ জীম্মায় জামিনে মুক্তি পায় এবং নাদিমকে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত।


     এই বিভাগের আরো খবর