,

হবিগঞ্জে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের দূর্নীতি তদন্তে দুদক

জুয়েল চৌধুরী ॥ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের যাবতীয় মালামাল ক্রয়ের দূর্নীতি তদন্তে নেমেছে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত জেলা দূর্নীতি দমন কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এরশাদ মিয়ার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি টিম হাসপাতালে তদন্ত কাজ শুরু করেন। তবে অভিযুক্ত ডাক্তার আবু সুফিয়ানকে খুজেঁ পাওয়া না গেলেও ডাক্তার সুলেমানকে জিঞ্জাসাবাদ করেছে দুদক। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের ভবন নির্মান ও প্রয়োজনীয় নানা মালামাল  ক্রয়ে কর্তৃপক্ষের নানা দূর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের খবর বিভিন্ন মিডিয়া এবং মহলে আলোচনা-সমালোচনা হলে এ নিয়ে টনক প্রশাসন ও দুদকের। ইতিমধ্যে ভবন ও ওই সব মালামালের ক্রয়ের যাবতীয় হিসাবসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তদারকি করেছে জেলা দূর্নীতি দমন কমিশন। এদিকে বার বার দুদকের অভিযান পরিচালনা করলেও এর প্রতিক্রিয়া কি হচ্ছে তা জানেন না সচেতন মহল। বেশ কিছুদিন আগে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের ডাক্তারদের উপস্থিতি নিয়ে ১০৬ নাম্বারে অভিযোগ করলে তদন্তে আসে দুদক হবিগঞ্জ। এ সময় ২০ জন ডাক্তারের মাঝে মাত্র ৫ জন ডাক্তারকে উপস্থিত পাওয়া যায়। তাছাড়া নতুন ভবনের একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বইপত্র, সাময়িকী, যন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি ক্রয়ের জন্য ২০১৮ সালে দরপত্র আহবান করা হয়। এ লক্ষ্যে কলেজের অধ্য ডাঃ আবু সুফিয়ান স্বাক্ষরিত আদেশে ফিজিওলজি বিভাগের প্রভাষক ডাঃ মোঃ শাহীন ভূইয়াকে সভাপতি করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট বাজার যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করা হয়। দরপত্রে অংশ নেয় ৭টি প্রতিষ্ঠান। কি ‘মূল্যায়ন রিপোর্টে সদস্যদের স্বাক্ষর ছাড়াই ঢাকার শ্যামলী এলাকার বিশ্বাস কুঞ্জছোঁয়া ভবনের ‘নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজ’ ও মতিঝিলের মঞ্জুরি ভবনের পুনম ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামে আরও দুটি প্রতিষ্ঠানকে মালামাল সরবরাহের দায়িত্ব দেয়া হয়।
সূত্র জানায়, বরাদ্দ ছিল ১৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ভ্যাট ও আয়কর খাতে সরকারি কোষাগারে জমা হয় ১ কোটি ৬১ লাখ টাকা ৯৭ হাজার ৭৪৮ টাকা। মালামাল ক্রয় বাবত ব্যয় দেখানো হয় ১৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮১ হাজার ১’শ ৯ টাকা। কি ‘বাস্তবে ওই মালামালের মূল্য ৫ কোটি টাকার বেশি নয়, এমনটাই বলছে দরপত্র প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। বাকী টাকার পুরোটাই ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। বঙ্গবন্ধুর কন্যার নামে এ প্রতিষ্ঠানটির সাথে এরকম প্রতারণা করায় হবিগঞ্জ জেলা জুড়ে সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়েছে। জেলা বাসীর দাবী এর সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর