,

‘এই প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে’

সময় ডেস্ক ॥ জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী রিজিয়া পারভীন। নিজের দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে বেশ কিছু শ্রেুাতাপ্রিয় গান তিনি উপহার দিয়েছেন। চলচ্চিত্রে যেমন তার গান জনপ্রিয়তা পেয়েছে তেমনি অডিও অ্যালবামের ক্ষেত্রেও। তবে আগের মতো করে নতুন গানে নিয়মিত নন তিনি। বর্তমানে বেশিরভাগ সময় আমেরিকায় থাকেন। সেখানেই নিয়মিত শোতে অংশ নিচ্ছেন। গত বেশ কিছুদিন ধরে অবশ্য ঢাকায় রয়েছেন রিজিয়া পারভীন। এখানেও গান নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সব মিলিয়ে কি অবস্থা? কেমন আছেন? রিজিয়া বলেন, খুব ভালো আছি। গানের মাঝেই আছি। নতুন বছরটা এবার দেশেই শুরু করলাম। আর সে কারণেই বলতে পারেন একটু বেশি ভালো আছি।  এখন কি নিয়ে ব্যস্ত? রিজিয়া বলেন, শো নিয়েই ব্যস্ত আছি। কিছু ভালো শো করেছি। তাছাড়া নতুন গানের কাজ চলছে। আমেরিকায় আপনার ব্যস্ততা কেমন? রিজিয়া উত্তরে বলেন, আমেরিকায় থাকলেও দেশকে আমি সব সময় মিস করি। সেখানেও আমি গানের সঙ্গেই থাকি। বিভিন্ন স্থানে শো করি। সেখানকার প্রবাসী দর্শকদের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ ও বাংলা গান নিয়ে অনেক আবেগ। সেটা আমি শো করতে গেলে অনুভব করি। তারা আমাকেও অনেক ভালোবাসেন। আমেরিকায় থাকলে সেখানকার বিভিন্ন রাজ্যে শো করি। তাছাড়া প্র্যাকটিসও করতে হয়। সব মিলিয়ে আমার সারাদিন গানের মাঝেই কাটে। কিন্তু আপনার নতুন গানতো অনেক দিন যাবৎ নেই। এর কারণ কি? রিজিয়া বলেন, সত্যি বলতে সংগীতের অবস্থা মধ্যে ভালো ছিলো না। এখন কিছুটা ভালো হয়েছে। তবে আগের মতো জমজমাট অবস্থা নেই। সে কারণে মধ্যে গান করিনি। অবশ্য এখন আমি আমার শ্রেুাতাদের জন্য নতুন গান করছি। খুব শিগগিরই হয়তো সে গান তাদের হাতে তুলে দেবো। নতুন অ্যালবাম তো আসছে? রিজিয়া বলেন, হ্যা। আমি পূর্ণ অ্যালবাম করছি। যদিও এখন খুব কম শিল্পী অ্যালবাম করছে। সবাই সিঙ্গেল করছে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় অ্যালবামের আবেদন অন্য কিছুতে পূরণ হয় না। সে কারণেই অ্যালবামের কাজ করছি। এরইমধ্যে এই একক অ্যালবামটির কাজ শুরু করেছি। কলকাতার নচিকেতা দাদা গানগুলোর কথা-সুর রচনা করছেন। আমার অত্যন্ত প্রিয় একজন শিল্পী তিনি। মানুষ হিসেবেও অসাধারণ। তার সঙ্গে কাজ করতে পেরে ভালো লাগছে। এরইমধ্যে বেশ কিছু গানের কাজ শেষ হয়েছে। আমি সেগুলোতে কন্ঠ দেবো। আশা করছি এ বছরই অ্যালবামটি শ্রেুাতাদের হাতে তুলে দিতে পারবো। এদিকে এ সময়ের গানের অবস্থা সম্পর্কে রিজিয়া পারভীন আরো বলেন, আগে সারা বছরই অনেক গানের কাজ হতো। কিন্তু এখন গানের সংখ্যা কমে গেছে। তাছাড়া আগে যেখানে এক অ্যালবামে ১০ কিংবা ১২টি গান থাকতো এখন তা হচ্ছে না। একটি করে গান প্রকাশ হচ্ছে। গানের অডিও নিয়েই আগে বেশি ভেবেছেন শিল্পী ও শ্রেুাতারা। কিন্তু এখন মিউজিক ভিডিও নিয়েও ভাবতে হচ্ছে। ডিজিটালি গান শুনছে সবাই। সব মিলিয়ে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে। এই পরিবর্তনটা যেন তরুণ প্রজন্ম ভালোভাবে কাজে লাগায় সেটাই চাই। সেটা কিভাবে? রিজিয়া বলেন, আমার মনে হয় এ প্রজন্মের মধ্যে রাতারাতি তারকা হওয়ার প্রবণতা বেশি। এই প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। গান আসবে মন থেকে। শিখতে হবে প্রতিনিয়ত। আমি এখনো নিজেকে শিক্ষার্থী মনে করি। কারণ গান শেখার কোনো শেষ নেই। তাছাড়া মৌলিক গানের ওপর জোর দিতে হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর