,

হবিগঞ্জ পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মোঃ জুনাইদ চৌধুরী : হবিগঞ্জ পৌর এলাকার উমেদনগর সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যান্ড জোরপূর্বক দখল ও কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে হবিগঞ্জ পৌর মেয়র মিজানুর রহমান মিজান ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। এমনকি সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিকদের মারপিটেরও অভিযোগ করেন শ্রমিকরা। এর প্রতিকার, সুষ্টু বিচার ও মেয়র মিজানসহ তার লোকজনকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিকরা। গতকাল বুধবার হবিগঞ্জ শহরের প্রধান সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেন শ্রমিকরা। এ সময় তারা মেয়র মিজান ও তার লোকজনের কবল থেকে সিএনজি স্ট্যান্ড উদ্ধার এবং তাদের গ্রেফতারের দাবি জানান। এতে পুরো শহরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ও জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি সমাধানের অশ্বাস দিলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়। এদিকে, এ ঘটনায় জেলার অন্যান্য উপজেলায়ও শ্রমিকরা সিএনজি চলাচল বন্ধ করে দেন বলে খবর পাওয়া যায়। সূত্রে জানা যায়- উমেদনগর সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যান্ডের বহিস্কৃত ম্যানেজার হাবিবের মাধ্যমে মেয়র মিজানুর রহমান মিজান জেলা সিএনজি অটোরিক্সা মালিক সমিতির কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাত করে নেন। এ ব্যাপারে সমিতির নেতৃবৃন্দ স্ট্যান্ড ম্যানেজার হাবিবকে বহিস্কার করে। পরে মিজানুর রহমান মিজান তার লোকজনকে দিয়ে শ্রমিকদের মারপিট করে স্ট্যান্ডটি দখল করে নেন। এ ব্যাপারে জেলা সিএনজি মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ হবিগঞ্জ সদর থানায় মৌকিভাবে অভিযোগ করলে ওসি মাসুক আলী উভয় পক্ষকে থানায় ডাকেন। কিন্তু মেয়র মিজান ও তার পক্ষের লোকজন সেদিন থানায় যায়নি। এ ব্যাপারে বিষয়টি সুষ্ট্র বিচার ও মেয়র মিজানসহ তার লোকজনকে গ্রেফতারের দাবিতে গতকাল বুধবার আন্দোলনে নেমেছেন সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিকরা।
এ ব্যাপারে উমদেনগর সিএনজি স্ট্যান্ডের ম্যানেজার মোঃ আশরাফ আলী বলেন ‘মেয়র মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ আমাদের শ্রমিকদের মারপিট করে উমেদনগর স্ট্যান্ড দখল করে নেয়। এমনকি সাবেক ম্যানাজের মাধ্যমে সমিতির কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে নিয়েছেন।’
মোঃ আশরাফ আলী আরো জানান ‘আমাদের শ্রমিকরা বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নামলে জেলা প্রশাসক মহোদয় ৩ দিনের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করে দেয়া আশ্বাস দিয়েছেন। পরে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিয়।’
হবিগঞ্জ জেলা সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ জুয়েল বলেন ‘সমিতির সাবেক ম্যানেজারকে হাত করে মেয়র মিজান আমাদের ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এমনতি তিনি অন্য একটি গ্রুপ তৈরী করে শ্রমিকদের মারপিট করে উমেদনগর স্ট্যান্ডটি দখল করে নিয়েছেন।’
তিনি আরোও বলেন- ‘সদর থানার ওসি মোঃ মাসুক আলী বিষয়টি সমাধানে থানায় ডাকালে আমরা গেলেও মেয়র মিজান ও তার পক্ষের কেউই যায়নি।’
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে মেয়র মিজান বলেন- ‘এ ধরণের কোন কর্মকাণ্ডের সাথে আমি জড়িত না। আমার প্রতিপক্ষরা আমার সুনাম ক্ষুন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছে। বরং আমি এই স্ট্যান্ডের শ্রমিকদের ভালোর জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’ হবিগঞ্জ সদর থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাসুক আলী বলেন শ্রমিকরা শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলা ও উভয় পক্ষকে নিয়ে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর