,

বাহুবলে মাদ্রাসা ছাত্রকে বলৎকার মুহতামিম কবিরকে খুঁজছে পুলিশ

সংবাদদাতা ॥ বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসায় মুহতামিম কর্তৃক ছাত্রকে ধর্ষনের ঘটনায় অবশেষে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত সোমবার (২৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নির্যাতিত মাদ্রাসা ছাত্রের পিতা মোতাব্বির মিয়া বাদী হয়ে মাদ্রাসায়ে আনোয়ারে মদিনা ফদ্রখলা মাদ্রসার মুহতামিম মাও: নোমান কবীরকে প্রধান আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফুয়াদ বলেন, মামলা দায়েরের পরপরই নোমান কবীরের মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়েছি। জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাতে মাদ্রাসার মুহতামিম নোমান কবীর নাঈম নামের এক ছাত্রকে খেদমতের জন্য তার খাসকামড়ায় ডাকেন। খেদমতের নামে তিনি ওই ছাত্রকে বলৎকার করেন। পরের দিন বুধবার সকালে ফদ্রখলা গ্রামের মুরুব্বী শওকত, ছোবান, মর্তুজ আলী নির্যাতিত ছাত্রের বাড়ি চুনারুঘাট উপজেলার রামশ্রী গ্রামে উপস্থিত হয়ে বিষয়টির রফাদফার চেষ্ঠা চালান। সেখানে ওই পরিবারের কাছে শুক্রবারের মধ্যে মাদ্রাসা থেকে ওই মুহতামিমকে বহিষ্কার করা হবে ও উপযুক্ত বিচার পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তারা আশ্বস্থ করেন। ওই বিষয়টি যাতে র‌্যাব পুলিশকে কেউ না জানায় সে বিষয়েও হুসিয়ারী দেন গ্রাম্য মাতব্বরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক জানান, তার রুমে সবসময় ছেলেদের আড্ডা থাকে। মাদ্রাসার সাবেক ছাত্ররাও তার খেদমত করতে মাদ্রাসায় আসে। আমরা ছাত্রদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক না রাখতে নিষেধ করার কারণেই আমাদের বেতন বন্ধ করে দেন মুহতামিম ও তার চাচাত ভাই মাদ্রাসার শিক্ষক আবু সাঈদ মিজবাহ। মুহতামিমের এমন আচরনে কোন শিক্ষক ওই মাদ্রাসায় থাকতে চায়না। এ বিষয়ে কথা বললেই শিক্ষকদের উপর চাড়াও হন তিনি। নিজের বাড়িতে মাদ্রাসা হওয়ায় তিনি গ্রামের মুরুব্বীদের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে বিরদর্পে তার অবৈধ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। গ্রামের মাতব্বর শওকত, ছুবান, রেজাক, মর্তুজ আলী ও কোনাপাড়ার মাইল্লার ছেলে সাইফুল, রুবেল, আব্দুল আউয়াল মুহতামিমের অবৈধ কাজে প্রত্য ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে আসছে। সাবেক শিক্ষক মাওলানা আফসার উদ্দিন বলেন, মাদ্রাসার পরিচালকের এমন আচরনেই আমিসহ ৪ জন চলে আসছি। ইউনিয়ন অফিসে আমাদের ৪ জন শিক্ষকের মামলা রয়েছে, আমার ৭৪ হাজার টাকা বেতন পাওনা রয়ে গেছে। বাকী শিক্ষকদের মামলা চলছে। রায় পেলেই আমরা আদালতে যাব। মাদ্রাসা ও মসজিদের সেক্রেটারী আকবর মিয়া বলেন, নোমানের আচরন এত খারাপ যে এলাকায় মুখ দেখানোর মত নয়। সে ছেলে ছাড়া কিছুই বুঝে না। আমরা বহুনিষেধ করেছি, গ্রামের কয়েকটি লোকের কারনে সে মাথাছাড়া দিয়ে উঠছে। নির্যাতিত ছাত্রের পিতা মোতাব্বির মিয়া বলেন, মাদ্রাসা রসূলের বাগান, মাদ্রাসার বদনাম করতে ছাইছলাম না, নির্যাতিত হয়েছে আমার ছেলেই নির্যাতন হউক, আর কারও ছেলে যাহাতে নির্যাতনের স্বীকার না হয় সেজন্য নোমানকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কারের কথা বলেছিলাম, তাকে বহিষ্কার না করার কারনেই বাধ্য হয়েই মামলা দায়ের করেছি। বাহুবল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান মামলা দায়েরের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাকে গ্রেফতারে আমাদের জোড় প্রচেষ্ঠা চলছে।


     এই বিভাগের আরো খবর