,

বাহুবল থেকে চুরি হওয়া শিশু ২০ দিন পর ঢাকা থেকে উদ্ধার ॥ স্বামী পলাতক

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ বাহুবলে মায়ের কাছ থেকে চুরি হওয়া তিনমাসের শিশুকে অবশেষে উদ্ধার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বাড্ডা থানার বউ বাজার এলাকার একটি বাসা থেকে ওই শিশুকে উদ্ধার করে স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে হবিগঞ্জ কোর্টে পাঠানো হয়। তবে এ বিষয়ে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন বাদি পক্ষের আইনজীবি আলহাজ¦ জিএম শাহিন। গতকাল বুধবার বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওই শিশুর মায়ের জবানবন্দি রেখে শিশুটিকে তার মা রোখসানা আক্তারের জিম্মায় দেন। জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার ছিলাকাড়া গ্রামের মৃত ছিদ্দিক আলীর পুত্র হাফেজ মোঃ মোস্তফা কামাল (৩৫) এর সাথে বিয়ে হয় বাহুবল উপজেলার বিহারীপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের কন্যা রোখসানা আক্তার (১৯) এর। দাম্পত্যজীবনে তাদের তিনমাসের একটি পুত্র সন্তান জন্ম হয়। মোস্তফা কামাল বাহুবল নতুন বাজারের গ্যাস সিলিন্ডারের এজেন্ট হওয়ায় নতুন বাজারেই বসবাস করতেন। এক পর্যায়ে রোখসানার সাথে তার পরিচয় হয় এবং বিয়ে হয়। কিন্তু রোখসানা জানতো না কামালের বাড়িতে আরেক স্ত্রী ও সন্তান আছে। পুত্র শিশু আবু বকর সিদ্দিক জন্ম নেয়ার পর কামালের পরিচয় ধরা পড়ে। এ সময় পরিবারে কলহের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে কামাল ও রোখসানা মিরপুরের একটি বাসায় ভাড়া নিয়ে বসবাস করে। ১ নভেম্বর রাতে শিশুপুত্রকে নিয়ে ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়লে গভীররাতে ঘুম থেকে জেগে রোখসানা থেকে তার শিশু নেই। এ সময় সে চিৎকার চেচাঁমেচি ও কান্না কাটি শুরু করে। পরে কামালকে ফোন দিয়ে জানতে পারে শিশু নিয়ে কামাল পালিয়ে গেছে। এদিকে দুগ্ধপোষ্য শিশুকে না দেয়ায় গত ৩ নভেম্বর রোখসানা হবিগঞ্জ আদালতে মামলা করে। আদালত বাচ্চাটিকে উদ্ধারের জন্য পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাধ্যমে ঢাকার পুলিশকে নির্দেশ দেন। মোবাইল ট্যাংকিয়ের মাধ্যমে পুলিশ নিশ্চিত হয় শিশুটি ঢাকার বউ বাজারের ওই বাসায় তার সৎ মায়ের কাছে আছে। অবশেষে তাকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকেই কামাল পালিয়ে যায়। মামলার বাদি রোখসানা জানান, আইনজীবি তাকে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং বিনা ফিতেই মামলার কার্যক্রম চালিয়ে যান। এ জন্য তিনি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর