,

কোনো চিকিৎসক বা নার্সই প্রথম করোনার টিকা নেবেন হবিগঞ্জে

সংবাদদাতা ॥ ঠিক করা দিনক্ষণ পরিবর্তন না হলে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জ জেলায় করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন (টিকা) প্রয়োগ শুরু হচ্ছে। এরই মধ্যে ৭২ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে পৌঁছেছে। প্রতিজনকে ২ ডোজ হিসেবে এখান থেকে টিকা পাবেন ৩৬ হাজার মানুষ। গতকাল শুক্রবার বেক্সিমকো ফার্মার একটি ভ্যানে করে পুলিশের করা নিরাপত্তায় ৭ হাজার ২০০ ভায়াল (কাচের শিশি) ভ্যাকসিন হবিগঞ্জে এসে পৌঁছায়। জেলা সিভিল সার্জন ডা. একেএম মোস্তাফিজুর রহমানসহ কর্মকর্তারা এগুলো গ্রহণ করেন। ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুখলিছুর রহমান উজ্জ্বল জানান, প্রতি ভায়ালে টিকা আছে ১০ ডোজ করে। ৭ হাজার ২০০ ভায়ালে ডোজের পরিমাণ ৭২ হাজার। প্রতিজনের শরীরে ২ ডোজ করে এখান থেকে ৩৬ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। সরকারের নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন না হলে আগামী ৭ জানুয়ারিই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। একজনের শরীরে প্রথম ডোজ প্রয়োগের ২ মাস পর তাকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। ৩৬ হাজার জনকে ১৫ দিনেই প্রথম ডোজ দিয়ে শেষ করা সম্ভব। প্রথম বার টিকা নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ পেতে তাদের ২ মাস অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি আরও জানান, টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। শিগগির সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এরপর সরকারি নির্দেশনার ভেতরে থেকে ফ্রন্টলাইনের স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, পুলিশ ও প্রশাসনের লোকদের টিকা দেওয়া হবে। পরে তা সবার মধ্যে প্রয়োগ করা হবে। তবে হবিগঞ্জ জেলায় প্রথম এমন কোনো চিকিৎসক বা নার্সকে টিকা দেওয়া হবে, যিনি টিকাদানে জড়িত থাকবেন।
হবিগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য জেলার ৭টি উপজেলায় ২টি করে দল গঠন করা হয়েছে। প্রতি টিমে ৪ জন নার্স ও ৮ জন করে স্বেচ্ছাসেবক থাকছেন। হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ৮টি টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া আরও ২টি টিম কাজ করবে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে।


     এই বিভাগের আরো খবর