,

নেই সুনসান শব্দ, স্তব্দ কামারপল্লী বন্যার প্রভাবে অলস সময় পার করছেন কামারীরা

জুনাইদ চৌধুরী : হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে অন্যান্য বছরের মতো এ বছর নেই কোন ব্যস্ততা। ঈদুল আযহা অর্থাৎ কোরবানীর ঈদে কামার পল্লীতে কামারেরা ব্যস্ত সময় পার করতো। সকাল থেকে গভীর রাত অবধি কামার পল্লী থেকে টুং টাং ভেসে আসতো। ঈদ যত ঘনিয়ে আসতো ততই তাদের কর্মব্যস্ততা বেড়ে যেতো বহুগুণ। যেন ফুরসত ফেলার সুযোগ নেই। ঈদের মাসখানেক পূর্ব থেকেই তারা কোরবানীর কাজে ব্যবহৃত দা, বটিসহ বিভিন্ন লৌহ নির্মিত পন্য তৈরী করে রাখতো। এছাড়া পুরাতন দা, বটি সান দেওয়া তো ছিলই। কিন্তু এ বছর কোরবানীর ঈদের দিন ছয়েক বাকী থাকলেও সেই দৃশ্য অনুপস্থিত। এ বছর ভয়াবহ বন্যার প্রভাবে কামার পল্লীতে কোন কাজ নেই বললেই চলে। আর কাজ তেমন না থাকায় কামার পল্লীতে চলছে সুনসান নিরবতা। কামারেরা যৎসামান্য কাজ কর্ম চালু রাখলেও ক্রেতা নেই বললেই চলে। সরজমিনে হবিগঞ্জ কামরপট্রি, নবীগঞ্জ পৌর শহরের কামার পট্টি, লাখাইর মোড়াকড়ি বুল্লাবাজারসহ বিভিন্ন কামার পল্লী পরিদর্শনে দেখা যায় অন্যান্য বছরের মতে দোকানীরা ঐভাবে জিনিসপত্র তৈরি করেনি। পুরাতন কিছু জিনিসের সানের দেওয়ার কাজ করছে। আবার অনেকে অলস বসে রয়েছে। বুল্লা বাজারের কামার পল্লীর তপন দেব এর সাথে আলাপকালে জানান ব্যবসা খুবই মন্দা। বন্যার কারনে ক্রেতা নেই তাই কাজও নেই। আর অগ্রিম কোন মাল তৈরী করিনি বেচাকেনা হবে কিনা এ ভাবনায়। তিনি আরোও জানান আমি চল্লিশ বছর যাবৎ এ পেশায় রয়েছি। এমন মন্দায় পড়িনি। জীবন কৃষ্ণ দেব জানান বেচাকেনা নেই। মন্দাভাব চলছে, প্রহ্লাদ কর্মকার জানান এখন বেচাকেনা নেই, তবে ঈদ আরো ঘনিয়ে আসলে বেচাকেনা হতে পারে এ আশায় রয়েছি।

 


     এই বিভাগের আরো খবর