,

গরমের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে প্রশান্তির জন্য সাতার কাটছে শিশুরা

ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন :: জ্বর, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন রোগব্যাধি

জাবেদ তালুকদার : বর্ষা মৌসুমের মধ্যভাগে এসেও চৈত্র-বৈশাখের মতো ভ্যাপসা গরমে নাকাল হবিগঞ্জের মানুষ। তীব্র খরতাপে দুর্বিষহ জীবনযাত্রা। ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন রোগব্যাধি দেখা দিয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে রিকশা, ভ্যান চালকসহ খোলা আকাশের নিচে কাজ করা শ্রমজীবী মানুষজন। গতকাল বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সর্বোচ্ছ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একটু প্রশান্তির জন্য ফুটপাতে ঠান্ডা শরবত পান করছে সাধারণ মানুষ। গরমের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে শিশুরা পুকুর কিংবা খাল-বিলের পানিতে দিন পার করছে। গাছের ছায়া কিংবা শীতল কোনো স্থানে ছুটতে দেখা গেছে অনেককে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ভ্যাপসা গরমে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে কর্মজীবী মানুষজন। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এদিকে তাপদাহ বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে ঠান্ডা পানীয়র চাহিদা। ফুটপাতে বিক্রি করা লেবুর শরবত, আখের রস ও ফলমূল কিনে খাচ্ছেন অনেকে। একইসঙ্গে চাহিদা বেড়েছে ডাব ও কোমল পানীয়র। এ ছাড়া হবিগঞ্জ শহরের থানা মোড়, কোর্ট মসজিদ রোড, তিনকোনা পুকুরপাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা মানুষকে বেকাদায় ফেলে ৩০/৪০ টাকা দামের ডাব ১০০/১২০ টাকা নিচ্ছে। কনফেকশনারী দোকানদাররা জানান, তীব্র গরমে কোমলপানীয়, জুস ও আইসক্রিম খুব বেশি চলছে। এছাড়া শহরের ইলেক্ট্রনিক্স দোকানগুলোতে পাখা বিক্রির ধুম লেগেছে। এদিকে গত কয়েক দিন ধরে দেখা গেছে, দিন রাত-সমানতালে গরমের দাপট। অস্বাভাবিক দাবদাহের কারণে অধিকাংশ ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ছে। গরমের কারনে হিটস্ট্রোকে গতকাল বহুলা পশ্চিম হাটির আব্দুল হামিদ নামের এক কৃষক মারা গেছেন। হাসপাতাল-ক্লিনিক ও ডাক্তারদের চেম্বারে বাড়ছে রোগীর ভিড়। এদিকে গতকাল সন্ধায় জেলার বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টিপাত হলেও গরমের তীব্রতা কমেনি।


     এই বিভাগের আরো খবর