,

২ মাস সাজা ভোগ করে হবিগঞ্জ কারাগারে আসামির মৃত্যু

জুয়েল চৌধুরী : হবিগঞ্জে শাহরুখ মিয়া (৫২) নামের এক ব্যক্তি গাঁজা সেবনের অভিযোগে ৩ মাসের সাজা নিয়ে কারাগারে গিয়ে দুই মাসের মাথায় লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলো। তবে ভ্রাম্যমান আদালতের সাজাটি কোনো কোনো বিচারক ও আইনজীবি বিচারের পরিপন্থি বলে মনে করছেন। ইতোপূর্বে এসব সাজার আসামিদের সংবাদ পত্রিকায় দেখে তৎকালীন বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আমজাদ হোসেনের নজরে এলে তিনি আসামিদেরকে আইনীভাবে খালাস প্রদান করেন। প্রায়ই দেখা যায়, ভ্রাম্যমান আদালত কোনো স্বাক্ষি প্রমাণ ছাড়াই কাউকে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা আটক করলে সাজা দিয়ে থাকেন। অনেক আইনজীবি জানান, যদি স্বাক্ষি প্রমাণ নিয়ে বিচার করা হতো তবে এমন হতো না। আবার কারো প্রতি কারো আক্রোষ থাকলে এসব করে ফাঁসানোও হয়। সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি নং-৫২৭২ শাহরুখ মিয়া গত সোমবার রাতে ধুলিয়াখাল¯’ জেলা কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমেই তাকে জেলের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে রাত ১০টায় তিনি মারা যান। সদর থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে। খবর নিয়ে জানা গেছে, দুই মাস আগে গাঁজা সেবনের অভিযোগে লাখাইয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যৌথ অভিযান চালিয়ে আটক করে তিনমাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করে। এরপর থেকেই তিনি কারাগারে ছিলেন। দুই মাস যদিও জেলবাস করেন কিন্তু সুস্থভাবে তিনি বাড়ি যেতে পারেননি। অনেকেই অভিযোগ করেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে না পারলেও সেবনকারীদের ধরে ভ্রাম্যমান আদালতের মুখোমুখি করে সাজার ব্যবস্থা করায়। যে কারণে বেশির ভাগ সময় মূল মাদক বিক্রেতারা থেকে যাচ্ছে ধরাছোয়ার বাইরে। অবসরপ্রাপ্ত অনেক বিচারক জানান, গাঁজাসেবনের অভিযোগে সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ১০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ দিনের জেল দেয়া যেতে পারে। কিন্তু দুই মাস, তিন মাস এটা জলুমের শামিল। মৃত শাহরুখ লাখাই উপজেলার সিংহগ্রামের মৃত খতিব হোসেনের পুত্র।


     এই বিভাগের আরো খবর