,

শায়েস্তাগঞ্জে আইডøবিও’র বিরুদ্ধে জায়গা দখল, অবৈধ বিদ্যুত ও নিয়োগ বাণিজ্যসহ দুর্নীতির অভিযোগ :: তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস রেলের অতিরিক্ত সচিবের

জুয়েল চৌধুরী : শায়েস্তাগঞ্জে আইডøবিও’র নেতৃত্বে রেলের জায়গা দখল, অবৈধ বিদ্যুত ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাণিজ্যসহ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। খবর নিয়ে জানা গেছে, শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন আওতায় ২৩টি রেল স্টেশন রয়েছে। এর মধ্যে পাইকপাড়া, ধুলিয়াখাল, কোর্ট স্টেশন ও হবিগঞ্জ বাজার স্টেশন বিলুপ্ত হয়ে বর্তমানে (১৯টি) রেল স্টেশন রয়েছে। এর মধ্যে সাটিয়াজুরী, লস্করপুর, বড়কোটা, শাকির মোহাম্মদ, সুতাং, চুনারুঘাট, আমুরোড, আসামপাড়া, বাল্লা, শায়েস্তাগঞ্জ জংশন, সুতাং, শাহজীবাজার, ছাতিয়াইন, নোয়াপাড়া, ইটাখোলা, তেলিয়াপাড়া, মনতলা, কাশিম নগর, হরষপুর রেল ষ্টেশন। কিন্তু রেল গেইট, রেল কোয়াটার (বাসা), বিভিন্ন প্রজাতি গাছ ও ভূমি এর দায়িত্বে রয়েছেন শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে উর্ধতন সহকারী প্রকৌশলী (পূর্ত) বিভাগ। নাম মাত্র শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে উর্ধতন সহকারী প্রকৌশলী (পূর্ত) আইডøবিও। কিন্তু সর্ষের মধ্যে যদি ভুত থাকে তা তাড়াবে কে? তিনি নিজেই এসব কোয়ার্টার ও রেলের জায়গা ভাড়া দিয়ে থাকেন। শুধু তাই নয়, রেলের দুই পাশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ইচ্ছামাপিক কেটে বিক্রি করে দেন। তার শায়েস্তাগঞ্জের কোয়ার্টার তালাবদ্ধ থাকলেও তিনি আরাম আয়েশে আখাউড়া বসবাস করে সরকারি বেতন বোনাস নিচ্ছেন। কিন্তু শায়েস্তাগঞ্জের আওতাধীন স্টেশনগুলোতে ডিউটি পালন করছেন না।
এছাড়া বিভিন্ন কৌশলে রেলওয়ে ভূয়া ভাউচার দেখিয়ে সরকারি হাজার হাজার টাকা উপার্জন করে নিয়ে ঢাকায় কয়েকটি বাড়ি ও নিজ বাড়িতে বহু সম্পদ এর মালিক হয়েছেন। তার পরিবারের নামে প্রচুর অর্থ ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে। এর তদন্ত করলেই সত্যতা পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, রেলের বিদ্যুত থেকে তার নির্দেশে আনোয়ার মিয়া বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনায় বিদ্যুত সরবরাহ করে থাকেন। বিনিময়ে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এতে করে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে অন্যদিকে লোডশেডিংসহ দূর্ঘটনা ঘটছে। পাশাপাশি পরিত্যক্ত কোয়ার্টার গুলোতে মাদকসেবনসহ অসামাজিক কাজ চলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রেল কর্তা জানান, আইডøবিওর নেতৃত্বে এসব অপকর্ম চলছে। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এ বিষয়ে রেলের অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি তার নজরে এসেছে। তদন্ত চলছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর