,

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নবীগঞ্জের ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী ও সংরক্ষিত আসনের বিজয়ী শিরিনা আখতার এবং সদস্য শিপন

জেলা পরিষদ নির্বাচনে মুশফিক হোসেন চৌধুরী আবারও নির্বাচিত :: জামানত হারালেন শিবলী খায়ের ও নুরুল হক

স্টাফ রিপোর্টার : হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী ঘোড়া প্রতীকে ৯৬১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল সোমবার বিকেলে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান তাকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন। নির্বাচনে অন্য দুই প্রার্থীর মধ্যে মোল্লা আবু নঈম মো. শিবলী খায়ের আনারস প্রতীকে ৭৭ ভোট ও কৃষক শ্রমিক জনতা পার্টির মো. নুরুল হক ৪৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। তারা দুইজনই জামানত হারালেন। হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে এক হাজার ১০৪ ভোটের মধ্যে এক হাজার ৮৫টি ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। এর মধ্যে ৪টি ভোট বাতিল হয়েছে।
গতকাল ৯টি উপজেলার ৯টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন হবিগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম।
এদিকে সদস্য পদে সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডে শিরীন আক্তার দোয়াত কলম পদে ২১৩, সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ডে শাম্মী আক্তার সুমি ৯৭, সংরক্ষিত ৩নং ওয়ার্ডে রাহেলা খাতুন হরিণ প্রতীকে ২০০, সদস্য পদে ১নং ওয়ার্ডে মোঃ ফেরদৌস মিয়া হাতি প্রতীকে ২৭ ভোট, সদস্য পদে ২নং ওয়ার্ডে ইমরান মিয়া তালা প্রতীকে ৮৬ ভোট, সদস্য পদে ৩নং ওয়ার্ডে শেখ মোঃ শফিকুজ্জামান শিপন টিউবওয়েল প্রতীকে ১০৬, সদস্য পদে ৪নং ওয়ার্ডে মোঃ জসিম উদ্দিন তালা প্রতীকে ৩২ ভোট, সদস্য পদে ৫নং ওয়ার্ডে নুরুল আমিন ওসমান অটোরিকশা প্রতীকে ৬৭, সদস্য পদে ৬নং ওয়ার্ডে আব্দুল আজিজ অটোরিকশা প্রতীকে ৩৫, সদস্য পদে ৭নং ওয়ার্ডে আলাউর রহমান সাহেদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, সদস্য পদে ৮নং ওয়ার্ডে সৈয়দ শামীম আনোয়ার তালা প্রতীকে ৯৬, সদস্য পদে ৯নং ওয়ার্ডে আইয়ূব আলী তালা প্রতীকে ৭৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত দুই মেয়াদে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়নি। বিনা প্রতিদ্ধন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী। এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলাকে ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। ৯টি জেলার ৭৮টি ইউনিয়ন, ৫টি পৌরসভা ও ৯টি উপজেলা পরিষদের ১ হাজার ১ শত ৪ জন ভোটার ছিলেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৮৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর পুর্বে সকাল ৯ টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয় ইভিএম পদ্ধতিতে।

 


     এই বিভাগের আরো খবর