,

লাখাইয়ে মাটি কাটা নিয়ে দুই দলের সংঘর্ষে নিহত ১ :: আটক দুই

স্টাফ রিপোর্টার : লাখাই উপজেলার বামৈ পূর্বগ্রামে মাটি কাটা নিয়ে দুই দলের সংঘর্ষে ইসহাক মিয়া (৭০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে চিকিৎসা নিতে আসা অনেক আহতরা গ্রেফতার এড়াতে পুলিশের ভয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে।  শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বামৈ ইউনিয়নের বামৈ গ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন ফুরুক ও ইউপি সদস্য শের আলীর মধ্যে সরকারি রাস্তা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এ বিরোধ মিমাংসায় সামাজিক বিচারের প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু শুক্রবার দু’পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে বেশ কয়েকজন আহত হন। খবর পেয়ে লাখাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
সংঘর্ষে আহত হন মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে ইসহাক (৭০), আশু মিয়ার ছেলে লিটন (২৫), সাজু মিয়ার ছেলে সাকিব (২২), সমু মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (৩৮) ও মৃত করিম হোসেনের ছেলে হাসু মিয়া (৬০)।
আহতদের উদ্ধার করে লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ইসহাককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আর আহত লিটন, সাকিব ও শাকিলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। এদিকে পুলিশ সদর হাসপাতাল থেকে দুই দাঙ্গাবাজকে আটক করেছে।
লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. অর্চনা সূত্রধর বলেন, ইসহাক মিয়াকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তার থুতনিতে একটি আঘাত রয়েছে। তবে কি কারণে তিনি মারা গেছেন তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুনু মিয়া বলেন, রাস্তায় মাটি কাটার বিরোধ নিয়ে এ সংঘর্ষ হয়। ইসহাক মিয়া কোনো পক্ষের না। তিনি সংঘর্ষের কথা শুনে বের হয়ে থুতনিতে আঘাত পেয়েছিলেন। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। শনিবার ময়নাতদন্ত হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর