,

চুনারুঘাটে নজরুলের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় দুই বোন :: পুলিশের সোর্স পরিচয়ে অপরাধ

স্টাফ রিফোর্টার : চুনারুঘাটে পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে নজরুল ইসলাম (৩৫) নামের এক প্রতারক। শুধু তাই নয় তার নেতৃত্বে চুনারুঘাটের বিভিন্ন এলাকায় জুয়া ও মাদকের আসরও বসে। তার এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে ডিআইজি সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়- উপজেলার রানীগাঁও ইউনিয়নের পাচারগাঁও গ্রামের আমির আলী প্রকাশ ঠান্ডা মিয়ার পুত্র নজরুল ইসলাম পড়াশোনা তেমন একটা না করেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা, পুলিশের সোর্স সহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের নাম ভাঙ্গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তার কথামতো কেউ টাকা না দিলে, তাকে বিভিন্ন মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দেয়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন- তার অত্যাচারে সাধারণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। সে প্রায় সময়ই মাদক ব্যবসা সহ বিভিন্ন স্থানে জুয়ার আসর বসায়। আর এসব অপরাধমূলক কাজের কারণে এলাকায় চুরি, ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধ ঘটছে।
তার ুবরুদ্ধে দায়েরকৃত এক অভিযোগে জানা যায়, পারিবারিক বিরোধের কারণে নিজেদের মধ্যে বিরোধ চলছে চুনারুঘাট পৌরসভার দুই বোন সামছুন্নাহার বকুল ও নুরুন্নাহার মুকুল। কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে নজরুল ইসলাম তাদেরকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। তার হুমকি-ধামকির কারণে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সে শুধু হুমকি-ধামকিই নয় অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজও করে। ফলে তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ভুক্তভোগী দুই বোন ডিআইজি বরাবরে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানান তারা।

সূত্রে জানা যায়- উপজেলার রানীগাঁও ইউনিয়নের পাচারগাঁও গ্রামের আমির আলী প্রকাশ ঠান্ডা মিয়ার পুত্র নজরুল ইসলাম তার নাম দস্তগত ছাড়া পড়াশোনায় তেমন না হলেও, সোর্স দালালী ও প্রতারণায় সরকার বিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় নেতা ৯নং রানীগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমীন, তার ছোট ভাই রানীগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি’র শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে র‌্যাব, পুলিশ ও আইন শৃংখলা বাহিনী সদস্যদের বিভিন্ন সময়ে চা-পাতা, মাছ ও বিভিন্ন উপকরণ এবং পণ্য দিয়ে তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে এবং তাদের সোর্স পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমায় ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে নজরুল প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সে প্রায় কোটি টাকার মালিক বনছে এখন? সে সোর্স থাকায় বর্তমান সরকার বিরোধী জ্বালাও পোড়াও ভাংচুর ও বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয়, সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্র চক্রান্তে লিপ্ত থাকা রানীগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমীনের ভাই রানীগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম র‌্যাব পুলিশ ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সোর্স থাকায় এবং আইন শৃংখলা বাহিনীর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলায় সরকার বিরোধী জ্বালাও পোড়াও বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা থেকে পার পেয়ে যাচ্ছে সোর্স নজরুলের ভাই বিএনপি নেতা নূরুল আমীন। বিএনপি নেতা নজরুল ও তার ভাই রানীগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমীনের সরকার বিরোধী ভূমিকাসহ তারা আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম অসন্তোষ এবং হতাশ ও ক্ষোভ দেখা দিচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রানীগাঁও আওয়ামীলীগ নেতাসহ স্থানীয়রা বলেন- নূরুল আমীনরা সরকার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় বিএনপি নেতা হয়েও আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে তারা র‌্যাব, পুলিশ ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলায়, দালালি ও সোর্স হিসাবে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে তারা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছে। তারা দুই ভাই বিএনপি নেতা নূরুল আমীন ও নজরুল র‌্যাব পুলিশ ও আইন শৃংখলা বাহিনীর যে ক্ষমতা দেখায় তা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা তো দূরের কথা ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলার নেতা ও উপজেলা প্রতিনিধি ও তা পারবে না। আমরা বিভিন্ন সময় দেখি র‌্যাব, পুলিশের বিভিন্ন গাড়ি রানীগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমীনের অফিসে আসে, বসে এবং আইন শৃংখলা বাহিনীর গাড়ীতে নিয়ে তাদেরকে যাতায়াতও করে, তাদের কথাও শুনে এবং কাজও করে তারা? এবং মাঝে মধ্যে হাইএক্স, নোহা গাড়ীসহ ভিআইপি বিভিন্ন গাড়ীতে যাতায়াত করতে ভোর রাতেও দেখা যায় বিএনপি নেতা আইন শৃংখলা বাহিনীর সোর্স নজরুলকে। এতে র‌্যাব, পুলিশের সোর্স হয়েও বেপরোয়া চলাফেরা করে কোটি টাকার মালিক কিভাবে বনে যাচ্ছে নজরুল? প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তার চলাফেরা সহ প্রশ্ন ও সাধারণ মানুষদের মাঝে সংশয় দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা আরো জানান, নজরুল পারকুল ও শ্রীবাড়ী চা বাগান এবং কালেঙ্গা রেঞ্জের রশিদপুর বন বিট বনাঞ্চলের গাছ চুরি ও গাছ পাচার করত। পরে দেড় দুই বছর পর বিদেশ থেকে আসে এখন সে সোর্সের কাজ করে চলে। নজরুলের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারী, লাল গংদের হামলায় নজরুল আহতের ঘটনা ও লাল মিয়াদের সাথে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সহ এলাকায় নানান অভিযোগ রয়েছে। তবে সে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সোর্স থাকায় হামলা-মামলার ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলতে সাহস পায় না। এদের বিভিন্ন অপকর্মে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীসহ স্থানীয়দের মাঝে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে কানাঘুষা ও সমালোচনা এবং অসন্তোষ। বিএনপি নেতা নূরুল আমীন, নজরুল সোর্সদের প্রতি সতর্ক ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর নজরে তাদেরকে রাখা এবং উল্লেখিত দুই বোনের অভিযোগ সহ স্থানীয়ভাবে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা নতুবা ডিজিএফআই কর্তৃক গোপনীয়ভাবে তদন্ত করে এসব বিষয় খতিয়ে দেখতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে রানীগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমীনের ভাই ইউনিয়ন বিএনপি’র শ্রম বিষয়ক সম্পাদক কথিত সোর্স নজরুল ইসলাম বলেন- বড় ভাই পদে আছেন। দলের সাথে থাকেন তবে জ্বালাও পোড়াও ও ভাংচুরে জড়িত না। আমার ভাই নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে কোন মামলাও নাই, অভিযোগ সত্য না। ইদানিং একটি চক্র ৪/৫টি পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে, যা মিথ্যা। রানীগাঁও বাজারে আমাদের ফার্নিচার দোকান থাকার সুবাদে ফার্নিচার বিক্রয়ে আইন-শৃখলা বাহিনীর সাথে সম্পর্ক আছে। আমি র‌্যাব পুলিশের সোর্স না। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো মিথ্যা। একটি মহল আমাকে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র করছে। রানীগাঁও, চুনারুঘাট সহ আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ নেতা ও জনৈক দুই চেয়ারম্যানের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে এসব আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে আতাত করে কৌশলে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি নেতা সোর্স নজরুল এবং এসবের আড়ালে নজরুল অবৈধ ব্যবসায় জড়িত আছে বলেও ধারণা করছেন স্থানীয়রা। নজরুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সে বিভিন্ন স্থানে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। নজরুলের এহেন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য র‌্যাব, পুলিশ সহ আইন-শৃংখলা বাহিনী কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণে ডিআইজি, জেলা প্রশাসক সহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী ও স্থানীয় নেতাকর্মীসহ সচেতন মহল।


     এই বিভাগের আরো খবর