,

মাধবপুরে যোগদানের ২ দিনের মাথায় অন্যত্র যোগদানের নির্দেশ শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার : মাধবপুরে যোগদানের ২ দিনের মাথায় রহস্যজনক কারণে রায়হানুল হক নামের এক শিক্ষককে অন্য বিদ্যালয়ে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এ নিয়ে সর্বত্র তোলপাড় চলছে। গত ২৩ তারিখ সম্বলিত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মাওলা স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে ওই শিক্ষককে আহম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে উত্তর বরগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগের আদেশ দেয়া হয়।
অথচ ওই শিক্ষক অভিযোগ করেন সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গত ২৪ জানুয়ারি তিনি উপজেলার আহম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন এবং দুইদিন তার দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু হুট করেই গতকাল ২৫ জানুয়ারি উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে তাকে গত ২৩ জানুয়ারি তারিখ সম্বলিত একটি ফরম ধরিয়ে দিয়ে উত্তর বরগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের জন্য বলা হয়। এতে তিনি হতভম্ব হয়ে পড়েন। শিক্ষা অফিসের এমন কর্ম নিয়ে সদ্য নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
ওই শিক্ষক আরও অভিযোগ করেন, গতকাল বুধবার মাধবপুরে নবীণ শিক্ষকদের ওরিয়েন্টশন ছিলো। আমি গত ২৪ তারিখ যোগদানের পর গতকাল ২৫ জানুয়ারী ওরিয়েন্টেশনে গেলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ছিদ্দিকুর রহমান আমার হাতে একটি সংশোধনী ফরম দেন। এতে উত্তর বরগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের জন্য বলা হয়। যা আমি রিসিভ করিনি। এখানে রহস্যজনক কারণে আমার স্থলে রায়হানা আক্তার নামে এক নারী শিক্ষিকাকে আনার পায়তারা করা হচ্ছে। ওই শিক্ষিকাও উত্তর বরগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন। আমার ধারণা এখানে বড় ধরণের অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে আমি আইনের আশ্রয় নেব।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি জানি না। আর এসব ফোনে বলা যাবে না। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বিস্তারিত জানেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার ছিদ্দিকুর রহমান জানান, সরানো হয়েছে সঠিক। তবে বিষয়টি আমি জানি না। বিস্তারিত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলতে পারবেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মাওলা বলেন, নারী শিক্ষক রায়হানা আক্তার ও পুরুষ শিক্ষক রায়হানুল হকের নাম কাছাকাছি হওয়ায় প্রিন্টিং মিস্ট্রেক হয়েছে। মূলত রায়হানুলকে উত্তর বরগ সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়েই নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। এ ছাড়া কোনো নারী শিক্ষককে তার বাড়ির কাছাকাছি ¯’লে নিয়োগদানের বিধান রয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর