,

শহরে নার্স নিপার মৃত্যুর কারণ জানতে নজরদারিতে প্রেমিক

জুয়েল চৌধুরী : হবিগঞ্জ শহরের ঘোষপাড়ায় নার্স নিপা তালুকদার (২২) এর মৃত্যুর রহস্যের জট খুলেছে। এদিকে তার কথিত প্রেমিক নাজিমকে সনাক্ত করে নজরদারিতে রেখেছে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। প্রমাণ পাওয়ার সাথে সাথেই তাকে আটক করা হবে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। শহরজুড়ে এরকম একটি ঘটনায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অনেকেই সাংবাদিকদের ফোন করে এর রহস্য জানতে চাচ্ছেন। কারণ সকলেই জানেন, নিপা আত্মহত্যা করেছে। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা এখনও অজানা। পত্রিকার মাধ্যমে উঠে এসেছে সে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেঁছে নিয়েছে।
গত রবিবার বিকাল ৫টায় সদর থানার এসআই মমিনুল ইসলাম পিপিএমসহ একদল পুলিশ ওই এলাকার নিম্বর আলীর বাসার নিচতলায় সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। তবে তার পা দুটি খাটের ওপর লেগে থাকায় মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়। এ সময় তার বুক পকেট থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করা হয়। চিরকুটটি তার হাতের লিখা কিনা পুলিশ তদন্ত করছে। এরপর থেকেই পুলিশ কললিষ্টের সূত্র ধরে প্রেমিকের সন্ধান পেয়েছে। তবে তার ফোনটি সুইচ অফ থাকায় কিছু জানা যায়নি।
সূত্র জানিয়েছে, সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার খাগাউড়া গ্রামের শ্যামল তালুকদারের কন্যা নিপা তালুকদার দুই বছর যাবত হবিগঞ্জ শহরের কোর্ট স্টেশন এলাকার ফয়েজ জেনারেল হাসপাতালে চাকরি করার সুবাদে এক যুবকের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে। ওই যুবক মুসলমান হলেও নিপাকে আপন করে নেয় এবং তাকে বিভিন্ন সময় সহযোগিতার হাত বাড়ায়। এরপরেই তাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। কিছুদিন সম্পর্ক চলে। এরপর দুজনের মধ্যে ব্রেকাপ হয়ে গেলে নিপা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। হয়তোবা এ কারণে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের লোকজন লজ্জায় তার লাশ গ্রামের বাড়িতে নিতে চায়নি। হবিগঞ্জেই দাহ করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু অনেক চিন্তা ভাবনার লাশ গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। এসআই মমিনুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে পিএম রিপোর্ট এলে হত্যা না আত্মহত্যা কারণ জানা যাবে। আর রহস্যজনক বিষয়টি উদঘাটনে কললিষ্টের সূত্র ধরে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। অচিরেই বিস্তারিত জানা যাবে।


     এই বিভাগের আরো খবর