,

আলোচিত জমির আলীর মিথ্যা মামলা থেকে খালাস পেলেন দুই সাংবাদিক

স্টাফ রিপোর্টার : হবিগঞ্জে কথিত মানবাধিকারকর্মী আলোচিত জমির আলীর মিথ্যা মানহানি মামলা থেকে বেখসুর খালাস ফেলেন সিনিয়র সাংবাদিক এমদাদুল ইসলাম সোহেল ও জুয়েল চৌধুরী।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলাম তাদেরকে খালাস প্রদান করেন। তবে বাদি ও তার আইনজীবী আব্দুল আওয়াল আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. এমদাদুল ইসলাম শাহীন, এপিপি মোঃ আতাউর রহমান, এড. শাহ ফখরুজ্জামান, মুহিবুর রহমান বাহার, হেলাল উদ্দিন, এনামুল হক এনাম প্রমুখ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার তেতৈয়া গ্রামের মকবুল হোসেনের পুত্র জমির আলীর প্রতারণা নিয়ে হবিগঞ্জের একাধিক স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ হয়। এ ঘটনায় জমির আলী ২০২০ সালে কোর্টে উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে ৬০ লাখ টাকার মানহানি মামলা করেন। বিচারক মামলা আমলে না নিয়ে সদর মডেল থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। তখনকার ওসি মোঃ মাসুক আলী বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে এসআই নয়ন মনিকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু নয়ন মনি সরেজমিনে বা কাগজপত্র না দেখে এবং অভিযুক্তদের সাথে কথা না বলেই বাদির দ্বারা বর্শীভূত হয়ে তার পক্ষে আদালতে রিপোর্ট দাখিল করেন। অথচ তদন্তকারী কর্মকর্তা জানতেন না একই ঘটনা নিয়ে জুয়েল চৌধুরীকে দুইটি মামলায় আসামি করা হয়। অপরদিকে জমির আলী আদালতে কোনো স্বাক্ষী প্রমাণ হাজির করতে পারেননি এমনকি গতকাল রায়ের দিন তিনি ও তার আইনজীবী আদালতে উপ¯ি’ত হননি। আদালত সার্বিক বিবেচনা করে এবং একই ঘটনায় দুইটি মামলা হওয়ায় আসামিদের বে-খসুর খালাস প্রদান করেন। প্রসঙ্গত, জমির আলী একই ঘটনায় জুয়েল চৌধুরীকে দৈনিক খোয়াই ও লোকালয় বার্তার স্টাফ রিপোর্টার দেখিয়ে দুইটি মামলা করেন। যার নং-সিআর ২০৫/২০, ১২৪/২০ইং। বর্তমানে ১২৪/২০ মামলাটি বিজ্ঞ বিচারক আব্দুল আলীমের আদালতে বিচারাধীন আছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক জুয়েল চৌধুরী জানান, একই ঘটনায় জমির আলী তার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা করে। বিজ্ঞ আদালত তাকে খালাস প্রদান করেছেন। বাদি মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে ৩ বছর হয়রানি করায় তিনি আইনের আশ্রয় নিবেন।


     এই বিভাগের আরো খবর