,

শায়েস্তাগঞ্জে ৮০০ কেজি ওজনের ‘জমিদার’ ষাঁড়টির দাম ৮ লাখ

শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি : আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বিক্রি হবে প্রাকৃতিক খাদ্য খেয়ে বেড়ে ওঠা ষাঁড় ‘অলিপুরের জমিদার’। ষাঁড়টির ওজন ৮০০ কেজি (২০ মণ)। এর দৈর্ঘ্য ৮৫ ইঞ্চি, প্রস্থ ৬০ ইঞ্চি। ষাঁড়টির মালিক হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাক্ষ্মনডোরা ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের আদর্শ এগ্রো ফার্মের সত্ত্বাধিকারী রাহাত মঈন উদ্দিন মুন্না। ভালোবেসে ষাঁড়টির নাম রেখেছেন অলিপুরের জমিদার। এক বছর আগে হবিগঞ্জ থেকে দুই লাখ বিশ হাজার টাকা দিয়ে শাহিয়াল জাতের ষাঁড়টি কিনে পরিচর্যা শুরু করেন মুন্না। কোনো ধরনের ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে অলিপুরের জমিদারকে।
বিশাল আকৃতির ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার লোকজন এসে ভিড় জমাচ্ছেন। এদের মধ্যে অনেক ক্রেতাও রয়েছেন। প্রতিদিন প্রায় ২০ কেজি কাঁচা ঘাস, ১০ কেজি সাইলেজ, ৫ কেজি ভুসি, ২ কেজি খৈল লাগে অলিপুরের জমিদারের খাবার মেন্যুতে। শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে দিনে তিনবার গোসল করানো হয়। পাশাপাশি পশু চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলে তার পরিচর্যা।
আদর্শ এগ্রো ফার্মে শাহিয়াল, ফিজিয়ান ও দেশাল জাতের ২৬টি ষাঁড় রয়েছে। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ১৮টি ষাঁড় । তবে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে অলিপুরের জমিদার। ২০ মণের এ ষাঁড়টি উপজেলা প্রাণী সম্পদ প্রদর্শনীতে সবচেয়ে বড় গরু হিসেবে পুরষ্কার পেয়েছে। আদর্শ এগ্রো ফার্মের সত্ত্বাধিকারী রাহাত মঈন উদ্দিন মুন্না বলেন, ২০২০ সালে আমার এগ্রো ফার্মের যাত্রা। দেড় বিঘা জমিতে এ ফার্মটি করি। মূলত শখের বসেই এগ্রো ফার্মটি শুরু করি। গত ৩ বছরে এ ফার্ম থেকে ভালই আয় হয়েছে। পরম মমতায় এক বছর ধরে ষাঁড়টি যত্ন সহকারে লালনপালন করে আসছি। শুধু দেশীয় খাবার খাইয়ে বড় করেছি। আদর করে এর নাম দিয়েছি অলিপুরের জমিদার। এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাজিম উদ্দিন বলেন, অলিপুরের জমিদারই উপজেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড়। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাদ্য খেয়ে বড় হয়েছে ষাঁড়টি । প্রাণিসম্পদ অফিস নিয়মিত দেখাশোনা করছে অলিপুরের জমিদারের।


     এই বিভাগের আরো খবর