,

সিসিক নির্বাচনে ভোটের মাঠে শাজাহান মাস্টারের চমক

সময় ডেস্ক : নির্বাচনের প্রচারণায় ছিল না তার কোনো কর্মী। পোস্টার সাঁটানোর মতো মানুষও ছিল না। আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় সে পথে হাঁটেনওনি তিনি। নিজে একাই চালিয়েছেন প্রচারণা থেকে ভোটের মাঠের সবকিছুই। পোস্টার সাঁটানো, লিফলেট বিতরণ সব করেছেন একাই। নির্বাচনের প্রচারণার পুরোটা সময় তার একমাত্র বাহন ছিল বাইসাইকেল, আর সেই বাইসাইকেল দিয়ে চালিয়ে গেছেন বাস গাড়ি মার্কার প্রচারণা। বলছিলাম মো.শাহজাহান মিয়া। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত হলেও সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহ জাহান মিয়া ওরফে শাহ জাহান মাস্টার। বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটসংখ্যার দিক থেকে তিনি হয়েছেন তৃতীয়।
নৌকা প্রতীকের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯১। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের নজরুল ইসলাম বাবুল পেয়েছেন ৫০ হাজার ৮৬২ ভোট। তৃতীয় হওয়া শাহ জাহান মিয়ার প্রাপ্ত ভোট ২৯ হাজার ৬৮৮। তাঁর প্রতীক ছিল বাস গাড়ি। নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন আটজন। তবে সবাইকে ছাপিয়ে আলোচনায় ওঠে এসেছেন শাহ জাহান মিয়া।
শাহ জাহান মিয়া প্রথমে ছিলেন হোটেল কর্মচারী। এরপর সেখান থেকে মোমবাতি ও স্যালাইন বিক্রির কাজ করেন। তারপর সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেন।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি যখন সিলেট শহরে আসি, তখন মানুষের দুঃখ দুর্দশা দেখে স্বপ্ন দেখি, একদিন এই শহরের মেয়র হব, এমপি হব, জনপ্রতিনিধি হব; এবং মানুষের সেই দুঃখ দুর্দশা দূর করব। অথচ কে না জানে, তার নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রথমেই আটকা পড়েছিল নির্বাচন কমিশনের যাচাই-বাছাইয়ে।
মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সম্পদ বিবরণী ও আয়কর রিটার্নের কপি জমা না দেওয়ায় শাহজাহান মিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি। আপিল শুনানির আগে সম্পদ বিবরণী ও আয়কর রিটার্নের কপি জমা দেওয়ায় তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান।
হলফনামা অনুযায়ী মো. শাহ জাহান মিয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসএস। সিলেট নগরের দরগাহ মহল্লায় একটি ভাড়াবাড়িতে থাকলেও তাঁর আদি নিবাস ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলায়।


     এই বিভাগের আরো খবর