স্টাফ রিপোর্টার : হবিগঞ্জে প্রতিমূহূর্তে পরিবর্ত হচ্ছে প্রধান নদ-নদীর পানির অবস্থান। কখনো বাড়ছে আবার কখনো কমছে। নদীর পানি বাড়া নিয়ে যখন তীরবর্তী মানুষের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গতকাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কালনি-কুশিয়ারার পানি আজমিরীগঞ্জ অংশে বিদৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে পানি ছিল ৫১ সেন্টিমিটার ওপরে। এছাড়া খোয়াই, ধলেশ্বরিসহ জেলার সব নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে গতকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলায় মাত্র কোন বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়নি। বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান।
গতকাল শুক্রবার সকালে হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফেসবুক পেজে নির্বাহী প্রকৌশলী শামিম হাসনাইন মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- কুশিয়ারা নদীর পানি আজমিরীগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে, শেরপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার এবং মার্কুলি পয়েন্টে ১৬১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। খোয়াই নদীর পানি সবগুলো পয়েন্টেই বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার খবর জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খোয়াই নদীর বাল্লা পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১১৪ সেন্টিমিটার, শায়েস্তাগঞ্জ পয়েন্টে ৫২৫ সেন্টিমিটার এবং শহরের মাছুলিয়া পয়েন্টে ৩৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।