,

প্রতিরাতেই চোর চক্রের হানা :: বানিয়াচংয়ে বেপরোয়া চোর সিন্ডিকেট :: আতঙ্কে এলাকাবাসী

বানিয়াচং প্রতিনিধি : বানিয়াচংয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চোর সিন্ডিকেট। একের পর এক বড় বড় চুরির ঘটনায় উদ্বিগ্ন গ্রামবাসী। চোরেদের টার্গেট হয়ে দাঁড়িয়েছে গরু ও গ্রামের দোকানপাট। অনলাইন জুয়া ও মাদককে কেন্দ্র করে সিন্ডিকেট গুলো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এদিকে একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও পুলিশকে অবগত না করায় কাউকে আটক করতে পারেনি।
গত কয়েকদিন আগে রাতে বানিয়াচং উপজেলার বড়ইউড়ি ইউপির নোওয়াগাঁও গ্রামের মহিবুর রহমান এর বাড়িতে হানা দেয় চোর চক্রের দল। এতে গোয়াল ঘরের জানালা খুলে একটি গরু চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়।
জানা যায়, ৬ জুলাই রাতে নবীগঞ্জ উপজেলার ৮নং সদর ইউনিয়ন আদিত্যপুর গ্রামের ফজল মিয়া বাড়ির গোয়াল ঘরের দরজা খুলে গরু নিয়ে পালিয়ে যায় পাশের উপজেলার কিছু স্থানীয় ছিচকে চোর। এর মধ্যে আব্দুল্লাহ মিয়ার পুত্র আঃ হাদি, নানু মিয়ার পুত্র আবুল কালাম ফজল মিয়ার বড় গাভী চোরি করে নোওয়াগাঁও গ্রামের ড্রাইভার দুলাল মিয়ার টমটম গাড়িতে তুলে ড্রাইভারের শশুর নবীগঞ্জ পৌরসভার বাসিন্দা তার শশুর এর কাছে বিক্রি করে টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নিয়ে যায়। ৭ জুলাই একটি গাভী নবীগঞ্জ পৌরসভার গন্ধা গ্রাম বিক্রি হয়েছে জানা জানি হলে গরুর মালিক ঘটনাস্থলে গিয়ে তার গরুটি চিনতে পারেন, এবং গরুর মালিক জিজ্ঞেস করে গরুটি কার কাছ থেকে ক্রয় করেছেন, দুলাল এর শশুর জানায় তার মেয়ের জামায়ের মধ্যেমে নোওয়াগাঁও গ্রামের আঃ হাদি ও কামাল গরুটি বিক্রি করে। গরুর মালিক ফজল মিয়া নোওয়াগাঁও গ্রামের বর্তমান মেম্বার আরজু মিয়া সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নবীগঞ্জ পৌরসভার আওয়ামীলীগ নেতা মোস্তাক আহমেদ মিলুর মধ্যেমে বিষয় টি শেষ করেন। একই গ্রামের বড়ইউড়ি ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ কে বানিয়াচং থানা থেকে ফোন করে জানানো হয়, আপনার গ্রামে সংঘবদ্ধ গরু চোরচক্রের দৌরাত্ম্য বেড়েছে।
চেয়াম্যান ফরিদ আহমেদ জানান,বানিয়াচং থানা থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে এস.আই সামসুল আরেফিন নোওয়াগাঁও গ্রামে আমার বাড়িতে আসেন এবং গরু চোরচক্রের সাথে জড়িতদের সম্পর্কে জানতে চাইলে তথ্য বেড়িয়ে আসে গরুর মালিক এর সাথে আলাপ করে জানতে পারেন, গরু চোরের বিষয়টি চেয়ারম্যান কে না জানিয়ে বর্তমান মেম্বার আরজু মিয়া বিষয়টি শেষ করেন।
চেয়ারম্যান বলেন, মানুষ থানা-পুলিশের সরণাপন্ন হতে চায় না। এসব নানা কারণে চোরের উৎপাত না কমে বরং বেড়েই চলেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সময় সুযোগে চোররা অধিকতর সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই চোরিসহ অন্যান্য দুষ্কর্মও ক্রমাগত বাড়ছে।
ভুক্তভোগীরা মনে করে, পুলিশের কাছে তাদের তালিকা তুলে দিলে গ্রেফতার অভিযান চালালে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে পারে।


     এই বিভাগের আরো খবর