,

মাধবপুরে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গড়ে উঠেছে করাতকল :: সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব

শেখ জাহান রনি, মাধবপুর : মাধবপুরে অনুমোদন ছাড়াই অবৈধ করাত কলের রমরমা ব্যবসা চলছে। এ কারণে সরকার হারাচ্ছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরকারি নিয়ম ও নির্দেশনা তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক করাতকল।
স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রভাব ও সংশ্লিষ্ট বনবিভাগ কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় নজরধারি না থাকায় এ উপজেলায় যত্রতত্র গড়ে উঠেছে এসব স’মিল বা করাত কল। এসব স’মিলের কারণে উজাড় হচ্ছে বনজ ও ফলদসহ নানান প্রজাতির গাছ; যার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ।
রঘুনন্দন রেঞ্জের অফিস সুত্রে জানা যায়, মাধবপুর উপজেলা বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৬০টির বেশি করাত কল গড়ে উঠেছে যার মধ্যে ৯টি করাতকলের অনুমোদন রয়েছে। বাকি ৫০টির অধিক করাতকলের অনুমোদন নেই।
উপজেলা বিভিন্ন এলাকার অবৈধভাবে স্থাপন করা করাতকল মালিকদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, করাতকল মালিকদের এক অংশ জানান আমরা চাই সরকারি ভাবে অনুমোদন ও রাজত্ব দিয়ে স’মিলন চালাই, আমরা অনুমোদনের জন্য বন বিভাগ অফিসে আবেদন পত্র জমা দিয়ে রেখেছি।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বন আইন ১৯২৭ ও তৎপ্রণীত স’মিল (লাইসেন্স) বিধিমালা ২০১২ অনুযায়ী কোনো স’মিল মালিক লাইসেন্স না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না। লাইসেন্স নেওয়ার পর থেকে প্রতিবছর তা নবায়ন করতে হবে। স’মিল স্থাপনের জন্য বন বিভাগের লাইসেন্স পাওয়ার পর নিতে হয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, এ ছাড়া যেখানে-সেখানে স’মিল স্থাপন করা যাবে না।
উপজেলার আন্দিউড়ার ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পাশে দুটি অবৈধ স’মিলে গিয়ে দেখা যায় শ্রমিকরা কাঠ চিঁড়া কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মালিক বাদশা মিয়া জানান, দীর্ঘদিন আমাদের স’মিল চলছে। অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছি এখনও অনুমোদন পাইনি।
এ বিষয়ে উপজেলার রঘুনন্দন রেঞ্জের কর্মকর্তা মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, অবৈধ স’মিলগুলোর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া অবৈধভাবে স-মিল স্থাপন বা চালানোর কোন সুযোগ নেই। আমরা কিছুদিনের মধ্যে অবৈধভাবে স্থাপন করা করাত কল/স’মিলের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, অবৈধ করাতকলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি যতদ্রুত সম্ভব সংশ্লিষ্ট বনবিভাগ কর্তৃপক্ষের সহযোগীতায় অবৈধ করাতকলের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবো।


     এই বিভাগের আরো খবর