,

হার্টের রিংয়ের দাম কমলো

সময় ডেস্ক : হৃদরোগীদের জন্য বড় স্বস্তির খবর মিলেছে। ২৭টি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ৪৪ ধরনের হার্টের রিংয়ের দাম কমিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। রিংপ্রতি ২ থেকে ৫৬ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। সে হিসাবে প্রকারভেদে রিংপ্রতি ৩ থেকে ৪৬ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমেছে। আগামী শনিবার মহান বিজয় দিবসে নতুন দাম কার্যকর হওয়ার কথা। এদিকে, হৃদরোগের চিকিৎসা প্রদানকারী সব হাসপাতালের নোটিশ বোর্ডে হার্টের রিংয়ের মূল্য তালিকা প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এর আগে ২৬ জুন তিন ধরনের রিংয়ের (স্টেন্ট) দাম কমানো হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভারতে ৪৯ হাজার টাকায় বিক্রি হওয়া হার্টের রিং বাংলাদেশে কিনতে হয় ৮৪ হাজার থেকে ১ লাখ ৪৯ হাজার টাকায়। এ পরিস্থিতিতে ভারত, নেপাল, ভুটানসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে রিংয়ের দাম বিবেচনায় বাংলাদেশে দাম কমানোর উদ্যোগ নেন হৃদরোগ চিকিৎসকরা। চিকিৎসার খরচ কমাতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা হার্টের রিংয়ের দাম সমন্বয় করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি দেন। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর দাম কমাতে উদ্যোগ নেয়। এর পর চলতি বছর জুনে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও রিং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বৈঠক করেন। সে বৈঠকে সব ধরনের রিংয়ে দাম কমানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। এর পর কয়েক দফা বৈঠক হয়। তবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নানা অজুহাতে দাম কমানো সম্ভব হচ্ছিল না। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে রিংয়ের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য পুনর্র্নিধারণ করা হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, হাসপাতালগুলো এ ব্যাপারে সাড়া না দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রিংয়ের নাম, সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমপিআর) এবং উৎপাদনকারীর নাম উল্লেখ করে পৃথক ক্যাশমেমো দিতে হবে। ব্যবহৃত রিংয়ের প্যাকেট রোগীকে সরবরাহ করতে হবে। প্যাকেটের গায়ে উৎপাদন, রিংয়ের মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ, যে দেশ থেকে আমদানি করা, সে দেশের উৎপাদন মূল্য উল্লেখ করতে হবে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, অ্যালেক্স প্লাস কার্ডিয়াক কোম্পানির রিংয়ের দাম ৫৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতদিন এই রিংয়ের দাম ছিল ৮০ হাজার টাকা। আলটিমাস্টারের (ডিইএস) দাম ৬৩ হাজার থেকে কমিয়ে ৬০ হাজার টাকা, কোরোফ্লেক্স আইএসএআর কোম্পানির রিংয়ের দাম ৫৯ হাজার ১১৯ থেকে কমিয়ে ৫৩ হাজার টাকা করা হয়েছে। রেজোলিউট ইন্টিগ্রিটি ডিইএসের দাম ১ লাখ ৮১ হাজার থেকে কমিয়ে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকা, বায়োফ্রিডম কোম্পানির রিংয়ের দাম ১ লাখ ২১ হাজার ৫০০ থেকে কমিয়ে ৬৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপপরিচালক নুরুল আলম বলেন, হৃদরোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, হৃদরোগ চিকিৎসক ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করে রিংয়ের দাম কমানো হয়েছে। সব হাসপাতালে রিংয়ের দামের তালিকা টানিয়ে দিতে বলা হয়েছে; যাতে রোগী ও স্বজনরা নতুন দাম সম্পর্কে জানতে পারেন। এর পরও কেউ বেশি দামে রিং বিক্রি করলে আইন অনুযায়ী দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা ২ লাখ টাকা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর