,

নবীগঞ্জ শহরে সংঘর্ষের ঘটনা শালিসে নিস্পত্তি

স্টাফ রিপোর্টার : গত ২৮ ফেব্রুয়ারী নবীগঞ্জ শহরে সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনায় উপজেলা সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল দুপুরে পৌরসভা প্রাঁঙ্গনে আয়োজিত সালিশ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সাবেক এমপি এমএ মুনিম চৌধুরী বাবু। পৌর মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সালিশ বৈঠক র্বোড গঠনের মাধ্যমে ঘটনার শান্তিপূর্ণ নিস্পত্তি হয়। এতে নবীগঞ্জ বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির নির্বাচন, শহরের নতুন বাজার এলাকায় ক্রমাগত সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের হয়রানী বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে উপস্থিত গুণীজন মতামত ব্যক্ত করেন। এক পর্যায়ে সালিশ বোর্ড গঠিত হয়। দীর্ঘ আলোচনা শেষে শহরের আনমনু গ্রামের কাউন্সিলর নানু মিয়াকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও রাজা কমপ্লেক্সের স্বত্বাধিকারী সৈয়দ খালেদের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা এবং কমপ্লেক্সের ক্ষতিপূরণ বাবত ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা, সিকিউরিটির ৭ লক্ষ টাকার মধ্যে ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ বাবত ১ লক্ষ টাকা, নানু মিয়ার দোকান ও মোটর সাইকেল ভাংচুর বাবত ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন বৈঠকের সভাপতি সাবেক এমপি এম.এ মুনিম চৌধুরী বাবু।
ঘোষিত ৩৫ সদস্যের সালিশ বৈঠকে বক্তব্য রাখেন- সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম আহবায়ক শেখ সুজাত মিয়া, সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, পৌরসভা মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. গতি গবিন্দ দাশ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান শেফু, চেয়ারম্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ খালেদুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান আ.ক.ম ফখরুল ইসলাম, সাবেক ইউ/পি চেয়ারম্যান সৈয়দ মতিউর রহমান পেয়ারা, দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকার সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নুর উদ্দিন বুলবুল ও এডভোকেট সুলতান মাহমুদ, নবীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান বজলুর রশিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ মিলু, জেলা পরিষদ সদস্য শেখ শফিকুজ্জামান শিপন, ইউপি চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ রানা, শাহ রিয়াজ নাদির সমুন, শেখ ছাদিকুর রহমান শিশু, জাতীয় পাটির কেন্দ্রীয় নেতা ডাঃ শাহ আবুল খায়ের, সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আবু সিদ্দিক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মুকিত চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শিহাব আহমদ চৌধুরী, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি এম.এ আহমদ আজাদ, সময় পত্রিকার প্রকাশক ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোঃ সেলিম তালুকদার, সিনিয়র সাংবাদিক এম.এ বাছিত, প্যানেল মেয়র জায়েদ চৌধুরী, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল মুকিত, পৌর কাউন্সিলর যুবরাজ গোপ, কাউন্সিলর কবির মিয়া, কাউন্সিলর জাকির হোসেন, কাউন্সিলর ফজল আহমদ চৌধুরী, কাউন্সিলর মাখন মিয়া, এডভোকেট ফারুক আহমদ, কাউন্সিলর জাকির জাকির হোসেন, কাউন্সিলর নানু মিয়া, সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য আঃ মালিক, সাবেক কাউন্সিলর আব্দুস সালাম, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আঃ মুকিত প্রমূখ।
দীর্ঘ ৬ ঘন্টা শেষে বৈঠকের রায়ে নানু মিয়া কর্তৃক দেয়া জামানতের ৭ লক্ষ টাকা থেকে চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদ এর রাজা কমপ্লেক্স ভাংচুরের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লক্ষ টাকা, বিভিন্ন দোকান ভাংচুরের ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ লক্ষ টাকা এবং কাউন্সিলর নানু মিয়ার দোকান ও মোটর সাইকেল ভাংচুর ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ লক্ষ টাকা নিধারণ করে রায় ঘোষনা করা হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর