,

বেপরোয়া হয়ে উঠেছে হবিগঞ্জের মাটি ব্যবসায়ীরা :: খোয়াই বাধ হুমকির মুখে

জুয়েল চৌধুরী : বেপরোয়া হয়ে উঠেছে হবিগঞ্জের মাটি ব্যবসায়ীরা। খোয়াই নদ থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে এক্সকাভেটর (ভেকু মেশিন) দিয়ে মাটি উত্তোলন কর হচ্ছে। খোয়াইয়ের প্রতিরক্ষা বাঁধ কেটে সড়ক নির্মাণ করায় মূল বাঁধের হবিগঞ্জ থেকে চুনারুঘাটের বাল্লা পর্যন্ত বিভিন্ন অংশ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আসছে বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলের পানি খোয়াই নদের বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইলে যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে হবিগঞ্জ সদর, লাখাই, নবীগঞ্জ, শায়েস্তাগঞ্জ ও চুনারুঘাট উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ পৌর এলাকা তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এ ছাড়া খোয়াই নদীর চর কেটে মাটি বিক্রির মহোৎসবে মেতে উঠেছেন সংশ্লিষ্ট ইজারাদাররা।
হবিগঞ্জ জেলা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ৯৩ কিলোমিটার খোয়াই নদী। এটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আঠারোমুড়া থেকে চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা নামক স্থান দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। স্থানীয় প্রশাসন মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাটি তোলার যন্ত্রপাতি জব্দ করলেও থেমে নেই তাদের কার্যক্রম।
আইন অনুযায়ী বাঁধের ১০০ ফুট দূর থেকে (রেম তৈরি করে) রাস্তা তৈরি করে মাটি তোলার কথা। কিন্তু অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি তুলে নদীর বাঁধের পাশ থেকে মাটি পরিবহন চলাচলের জন্য বাঁধ কেটে রাস্তা তৈরি করেন ইজারাদাররা।
জেলা প্রশাসনের ইজারা দেওয়া ছাড়াও ইজারা বহির্ভূত জায়গা থেকে প্রতিদিন মাটি তুলছে চক্রটি। এ ছাড়া কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে হবিগঞ্জ সদর, শায়েস্তাগঞ্জ ও চুনারুঘাট উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খোয়াই নদীর চর কেটে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। মাটি পরিবহনের জন্য দানব আকৃতির ট্রাক্টর চলছে গ্রামীণ কাচা সড়কে। এতে সড়ক ও বিভিন্ন সেতু ভাঙার পাশাপাশি নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে স্থানীয়রা। আবার এসব মাটি চুনারুঘাট-বাল্লা সড়কসহ বিভিন্ন সড়কের পাশে রেখে লোড-আনলোড করার কারণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। অসাধু মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ঘনঘন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছন ভুক্তভোগীরা।


     এই বিভাগের আরো খবর