,

ক্যান্সার আক্রান্ত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সত্যজিত দাশ দোয়া ও সহযোগিতা কামনা

সাবেক চেয়ারম্যান বাবু সত্যজিত দাশ এর পারিবারিক সূত্রে জানা যায় প্রায় ৩ মাস পূর্বে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সত্যজিত দাশ এর গলার ডান পাশে একটি টিউমার পরিলক্ষিত হয়। তিনি বিগত ২/২/২০২৪ইং তারিখে নরসিংদী জেলার মাধবদী উপজেলাতে, মাধবদী সিটি (প্রাঃ) হাসপাতালে নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইফতেকার ইসলাম দীপুর কাছে চিকিৎসা নেন। ডাঃ দীপু সাহেব চেয়ারম্যান বাবুকে পরীক্ষা নিরিক্ষার পর ঋঘঅঈ পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন। চেয়ারম্যান বাবু ডাঃ দীপু সাহেবের নির্দেশ মোতাবেক ঢাকা পিজি হাসপাতালে ঋঘঅঈ পরীক্ষা করিয়ে পরীক্ষার রিপোর্ট ১১/২/২০২৪ইং তারিখে ডাঃ দীপু সাহেবকে দেখান। ডাঃ দীপু সাহেব রিপোর্ট দেখে চেয়ারম্যান বাবুকে মহাখালি ক্যান্সার হাসপাতালে অথবা পিজি হাসপাতালের অধ্যাপক ডাঃ এ আল্লাম চৌধুরীকে দেখানোর নির্দেশ দেন। ডাঃ এ আল্লাম চৌধুরী পিজি হাসপাতালের নাক, কান, গলা রোগ ও হেড নেক সার্জারী বিভাগের অধ্যাপক। চেয়ারম্যান বাবু ১২/২/২০২৪ইং তারিখে পিজি হাসপাতালে ঋঘঅঈ রিপোর্ট নিয়ে ডাঃ এ আল্লাম চৌধুরীকে দেখান। ডাঃ এ আল্লাম চৌধুরী ঋঘঅঈ রিপোর্ট দেখার পর, চেয়ারম্যান বাবুকে পর্যায়ক্রমে ঋঙখ পরীক্ষা, রক্ত পরীক্ষা, রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা, প্রস্রাব পরীক্ষা, বডি এক্সরে, গলা এক্সরে, ইকো পরীক্ষা, ইসিজি পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন। ডাক্তার সাহেবের নির্দেশ মোতাবেক চেয়ারম্যান বাবু সবগুলা পরীক্ষা করিয়ে বিগত ঐ দিনই রাত ৮ ঘটিকায় মডিউল জেলারেল হাসপাতালে ডাক্তার সাহেবের চেম্বারে রিপোর্ট দেখান। তখন ডাঃ এ আল্লাম চৌধুরী সব রিপোর্ট দেখে চেয়ারম্যান বাবুকে পিজি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার নির্দেশ দেন। তখন চেয়ারম্যান বাবু নবীগঞ্জ-বাহুবল এর বর্তমান এমপি মহোদয় এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর পরামর্শ নেন। এমপি মহোদয়ের পরামর্শ মোতাবেক চেয়ারম্যান বাবু বিগত ২/৩/২০২৪ইং তারিখে ঢাকার গ্রীন লাইফ হাসপাতাল লিমিটেড এ অধ্যাপক ডাঃ প্রান গোপাল দত্তকে ইতিপূর্বের সকল রিপোর্ট দেখান এবং ডাক্তার বাবুর পরামর্শ চান। অধ্যাপক ডাঃ প্রান গোপাল দত্ত ইতিপূর্বের সমস্ত রিপোর্ট দেখেন এবং পর্যালোচনা- করে জরুরী ভিত্তিতে ঐ দিনই আমাকে বায়োস্পী পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন। অর্থাৎ গলা মাংস নিয়ে পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন। উনার নিদের্শ মোতাবেক চেয়ারম্যান বাবু ঐ দিনই বায়োস্পী পরীক্ষা করান। বিগত ৯/৩/২০২৪ইং তারিখে বায়োস্পী রিপোর্ট ডাঃ প্রান গোপাল দত্ত বাবুকে দেখানোর পর তিনি চেয়ারম্যান বাবুকে নর্থ-ইষ্ট ক্যান্সার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য লিখিত নির্দেশ দেন। বিগত ১০/৩/২০২৪ইং তারিখে চেয়ারম্যান বাবু সিলেটের নর্থ-ইস্ট ক্যান্সার হাসপাতালে এসে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন এবং বর্তমানে ডাঃ দেবাশীষ পাটোয়ারীর অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন।
সাবেক চেয়ারম্যান সত্যজিত দাশের জন্য উনার পরিবারের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যানের বড় ছেলে সবুজ কান্তি দাশ ১নং বড় ভাকৈর (পঃ) ইউনিয়নবাসী, নবীগঞ্জ উপজেলাবাসী, হবিগঞ্জ জেলাবাসী এবং দেশবাসীর বাসীর কাছে চেয়ারম্যান বাবুর এই মারাত্মক ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আর্শিবাদ, দোয়া, সহযোগিতা এবং ভাল পরামর্শ-কামনা করছেন। আমরা দীর্ঘ সময় সবুজ কান্তি দাশের সাথে তার বাবার ব্যাপারে কথা বলেছি। সবুজ কান্তি দাশ জানান, তার বাবা বাবু সত্যজিত দাশ নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে খুব ভাল ছাত্র ছিলেন। ১৯৮৩ইং সনে তার বাবা মেট্রিক পাশ করেন। ১৯৮৪ইং সনে তিনি ওমানে চলে যান। ১৯৮৮ইং সনে তিনি ওমান থেকে চলে আসেন। বাংলাদেশে এসে তিনি ৫ বৎসর ঔষধ কোম্পানীতে চাকরী করেন। ১৯৯৪ ইং সনে তিনি একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকরী নিয়ে ঢাকায় চলে যান।২০০৩ ইং সনে তিনি ১নং বড় ভাকৈর (পঃ) ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ১ম বারের মত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১১ সাল পর্যন্ত ৮ বৎসর তিনি চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালের নির্বাচনে তিনি পরাজিত হয়ে আবার ঢাকায় একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিং যোগদান করেন। ২০১৬ইং সনে আবার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। অত্যন্ত সুনামের সহিত ২০২১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালের নির্বাচনে আবার তিনি পরাজিত হন। ৫/১/২০২২ইং তারিখে বর্তমান চেয়ারম্যান রংগ লাল দাশকে দায়িত্ব অর্পণ করে নরসিংদী জেলা মাধবদী উপজেলা ম্যাক টেক্সটাইল মিলের মার্কেটিং এ যোগদান করে। ২০২২ইং এবং ২০২৩ইং সন চাকুরী করার পর বর্তমানে আমার বাবার এই অবস্থা। তিনি চাকুরী করে আমরা ২ ভাই ১ বোনের লেখাপড়ার যোগান দিতেন এবং পরিবার চালাতেন। এমতাবস্থায় আমার বাবার এই মারাত্মক ব্যাধি আমাদের পরিবারকে নিরুপায় অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। আমার বাবা ২০০৩ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত ৪ বার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন। ২ বার চেয়ারম্যান হয়েছেন ২ বার ফেল করেছেন। সারা জীবন পরিশ্রম করে আমাদের লেখাপড়ার যোগান দিয়েছেন এবং নিবার্চনে ব্যয় করে বর্তমানে আমাদের এই অবস্থা।বর্তমানে আমি সবুজ কান্তি দাশ সিলেট এমসি কলেজে গণিত বিষয়ে মাস্টার্স পরীক্ষার্থী, ছোট ভাই সজীব দাশ হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী,সবার ছোট বোন সাথী রাণী দাশ শর্মী সুনামগঞ্জের বিবিয়ানা মডেল ডিগ্রি কলেজে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী। ইতিমধ্যে পারিবারিক ভাবে বাবার চিকিৎসার জন্য আমরা ১,৫০০০০/= টাকা ব্যয় করে ফেলেছি। এখনও মুল চিকিৎসা শুরুই হয়নি। শুধু পরীক্ষা নিরিক্ষায়ই আমাদের ১,৫০০০০/= টাকা চলে গেছে। বর্তমানে সিলেট নর্থ ইষ্ট ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য বাবাকে ভর্তি করা হয়েছে। গত কয়েক দিন পুর্বে চরগাঁও গ্রামের মোঃ শামসুল আলম লন্ডনী চাচা লন্ডন থেকে দেশে এসেছিলেন। তিনি বাবার খুব ভজন বন্ধু।
তাহার পরামর্শ চিকিৎসার জন্য ইন্ডিয়া যাওয়া। এ জন্য তিনি চিকিৎসার জন্য বাবাকে ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষনাও দিয়েছেন। পারিবারিকভাবে আমরাও চিকিৎসার জন্য ইন্ডিয়া পাঠাতে ইচ্ছুক। কিন্তু টাকা কোথায়? আলম চাচা ১ লক্ষ টাকা দিবেন ঘোষণা দেওয়াতে বাবাকে ইন্ডিয়া যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট করিয়েছি। পাসপোর্ট পাওয়ার পর ভিসার জন্য আবেদনও করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী ২০/৩/ ২০২৪ইং তারিখে বাবার ভিসা হয়ে যাবে। যেখানে চিকিৎসার জন্য যাবেন তারও ক্লিয়ারেন্স পেয়ে গেছি। আগামী ২৬/৩/২০২৪ইং তারিখের মধ্যে হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হতে হবে। এমতাবস্থায় আমাদের শামসুল আলম চাচার ঘোষিত ১ লক্ষ টাকা বাদে আরো কমপক্ষে ৫ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। বর্তমানে আমাদের বাড়ি ছাড়া বিক্রি করার সম্পদ নাই। বাড়ির কিছু অংশ আমরা বিক্রি করতে পারিবারিকভাবে একমত হয়েছি। কিন্তু খরিদদ্বার পাওয়া যাচ্ছে না।
সবুজ কান্তি দাশ বলেন, মানুষের জন্ম-মৃত্যু,অসুখ-বিসুখ, ধন-সম্পদ ঈশ্বর বা আল্লাহর ইচ্ছার হয়। অসুখ বিসুখ নিরাময়ও ঈশ্বরের ইচ্ছায় হয়। আমার বাবার বর্তমান বয়স ৫৭ বৎসর। তার সন্তান হিসাবে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো যেখানে গেলে আমার বাবাকে সুস্থ করা যাবে সেখানেই নিয়ে যাওয়া। অনেকেরই ধারণা ইন্ডিয়া নিয়ে গেলে উনি সুস্থ হবেন। আমাদের ও ইচ্ছা বাবাকে চিকিৎসার জন্য ইন্ডিয়া নিয়ে যাওয়া কিন্তু সমস্যা হচ্ছে টাকা। তাই আমি আমার পরিবাবের পক্ষ থেকে আবারও আমার ইউনিয়নবাসী, উপজেলাবাসী, জেলাবাসী, দেশবাসীর কাছে আপনাদের পত্রিকার মাধ্যমে আকুল আবেদন জানাচ্ছি, আপনারা আমার বাবার সুস্থতার জন্য আশীর্বাদ ও দোয়া করবেন এবং ঈশ্বর যেন আমাদের ক্ষমতা দান করেন যেন আমরা বাবার চিকিৎসার টাকা ব্যাবস্থা করতে পারি। পাশাপাশি আমি আমার বাবার গুণগ্রাহী, হিতাকাঙ্কী, বন্ধু মহল, আমার বাবার ২ বারের সহকর্মী, নবীগঞ্জের ১৩টি ইউনিয়নের সম্মানিত সাবেক চেয়ারম্যানবৃন্দ এবং বর্তমান সম্মানিত চেয়ারম্যানবৃন্দ ও পরিষদের সদস্যবৃন্দ, সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিবর্গ, সমাজসেবী ব্যক্তিবর্গ, ধনী এবং দাতা ব্যক্তি, বিভিন্ন সংগঠন সকলের কাছে আমার স্ববিনয়ে অনুরোধ, আপনারা সকলে আমার বাবা সমন্ধে যদি জানেন, মনে করেন ব্যক্তিটি সমাজে বেঁচে থাকা প্রয়োজন, তাহলে আমাদের চেষ্টা করতে অসুবিধা কোথায়। আপনারা সকলে আমাকে যদি সামান্য সামান্য করে আর্থিক সহযোগিতা করেন তাহলে আমি আমার বাবাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ইন্ডিয়া যেতে পারি। এ পর্যন্ত আমার বাবার চিকিৎসার জন্য যারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন তারা হলেন, চরগাওঁ গ্রামের মোঃ সামশুল আলম লন্ডনী চাচা ১ লক্ষ টাকা, হিলালপুরের অখিল দাশ রাজু বিমানের ২টি টিকেট, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সইফা আক্তার কাকলী আন্টি ৫০০০/= টাকা এবং বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম আন্টি ৫০০০/= টাকা। এই টাকাগুলি স্ব-ইচ্ছায়ই বাবার চিকিৎসার জন্য দিয়েছেন। আমি বাবার ও আমার ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার, বিকাশ নাম্বার এবং মোবাইল নাম্বার পত্রিকায় দিয়ে দিলাম। স্বদিচ্ছায় যারা সহযোগিতা করবেন আমরা সাদরে গ্রহণ করবো।

সত্যজিত দাশ
সঞ্চয়ী হিসাব নং -০১০০২২৬৬০৩৯২৬
জনতা ব্যাংক লিমিটেড
নবীগঞ্জ শাখা,হবিগঞ্জ।

সবুজ কান্তি দাশ
সঞ্চয়ী হিসাব নং
-৪৩৫১১০১০৫১১৩৯
পূবালী ব্যাংক লিমিটেড
বন্দর বাজার শাখা, সিলেট।
বিকাশ পার্সোনাল ০১৭৯৯-৪৫৫৩০০/০১৭৯৮-০৩৯৪৬৩
যোগাযোগের জন্য নাম্বার: ০১৭১৩-৮০৮৭০৬।


     এই বিভাগের আরো খবর