,

শায়েস্তাগঞ্জে মশার উপদ্রব ডেঙ্গু আতঙ্কে পৌরবাসী

শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি : শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার জনসাধারণ মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। মশাবাহিত রোগবালাই এর সাথে ডেঙ্গু আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পৌরসভার জনগণ। যদিও শীত এখনো পুরোপুরি বিদায় নেয়নি, যাইযাই করছে। এরই মাঝে হঠাৎ মশার পাল তাদের আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। দিনের বেলায় কোথাও একদন্ড দাঁড়ানোর উপায় নাই, সুয্যোগ পেলেই রক্ত চুষে নিচ্ছে মশার দলে। রাতের পরিস্থিতি বলাই বাহুল্য। মশা তাড়ানোর কয়েল ব্যবহার করেও নিস্তার মিলছেনা মশার কামড় থেকে। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জেনেও জনগণ দেদারসে ব্যবহার করছেন মশার কয়েল। শীতকালে পরিত্যক্ত জলাশয়ে পানি নেই বললেই চলে তবুও মশার বংশ বিস্তার থেমে নেই। অনেকেই মনে করছেন পৌরসভার তৈরিকৃত পাকা নর্দমাতে জমে থাকা দূষিত পানি এই মশার বংশ বিস্তারের উপযুক্ত স্থান।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌরসভার দাউদনগর বাজার, আলীগঞ্জ বাজার, পুরান বাজারের মাছ ও সবজি দোকানের আসপাশের ড্রেনগুলো মশা-মাছি উৎপাদনের হাইব্রিড কারখানায় পরিনত হয়েছে। শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের আসপাশের কাঁচা পাকা নর্দমা ও যত্রতত্র ছড়ানো ছিটানো আবর্জনা মশামাছির সূতিকাগার।
শায়েস্তাগঞ্জ উদয়ন আবাসিক এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, শীতের অবসান না হতেই দিনরাত চব্বিশ ঘন্টা সদলবলে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। মশার ওষুধ ও কয়েল জ্বালিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না। অনতিবিলম্বে পৌর কর্তৃপক্ষ যেকোনো উদ্যোগ নিবে আশা করছি।
পুরানবাজার এলাকার বাসিন্দা ফিরোজ মিয়া বলেন, হঠাৎ করে হাইব্রিড মশার উদ্ভব হয়েছে। এগুলো অনেক বড় আকারের মশা, নিমেষেই রক্ত চুষে নিচ্ছে। মশা তাড়ানোর কয়েল জ্বালিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না।
এবিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ফরিদ আহমেদ অলি বলেন, অতি শীঘ্রই শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে মশক নিধনে কার্যক্রম শুরু হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর