March 23, 2025, 2:00 pm

চুনারুঘাটে পোস্ট অফিসের আশপাশ মল-মূত্রে ভরাট

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাট প্রাচীনতম উপজেলা পোস্ট অফিসটির ভবনটির চারপাশে ময়লা আবর্জনা অবস্থায় পড়ে থাকার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এখানকার কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। পৌর শহরের বাল্লা রোড এলাকার এক পাশে ফরেস্ট অফিস অন্য পাশে বাসা-বাড়িসহ বেশ কয়েকটি চায়ের দোকান। আর মূল সড়কের পাশে আবর্জনার স্তুপ। প্র¯্রাব পায়খানায় বর্জ্যরে একাকার হয়ে আছে। পৌর শহরের পোষ্ট অফিসের পাশে পর্যাপ্ত আলোক স্বল্পতা ও অপরিকল্পিত ড্রেইনেজ ব্যবস্থায় শহরমূখি মানুষের মলমূত্র ত্যাগের অভয়াশ্রয় কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। পৌর শহরের ব্যবসায়ীরা পোষ্ট অফিসের পরিত্যক্ত জাগায় ময়লা আবর্জনা ফেলানো হয়। যার কারণে মলমূত্র ও ময়লা আবর্জনা পচেঁ দূর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে। দূর্গন্ধে পোষ্ট অফিস ও পাশে থাকা ফরেস্ট অফিসের কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও যাতায়াতকৃত সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পরেন। প্রচন্ডদূর্গন্ধ আর দূষণের মধ্য দিয়ে নাক চেপে কোনোমতে জায়গাটা পার হয়ে হাফ ছেড়ে বাঁচতে চাইছে পোস্ট অফিস কর্মকর্তা ও পথচারীরা। স্থানীয় লোকজন জানান, এ দৃশ্য রোজকার। অনেকটা গা সওয়া হয়ে গেছে তাদের। একজন পথচারী জানান, এটা একটা স্থায়ী ময়লার ডিপো। বহু বছর ধরে এভাবে চললেও কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই। ডিজিটালের ছোঁয়া, সুন্দরের সংকীর্তনের মাঝেও খেয়াল পড়েনি সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের। এমন এক সময় যোগাযোগের মূল মাধ্যম ছিল এ পোস্ট অফিসটি। কর্মব্যস্ততায় থাকতেন অফিসাররা আর সেবা পেতে চিঠি প্রেরণকারীরা লম্বা লাইনে সারিতে দাঁড়াতেন। ময়লা আবর্জনায় পরিপূর্ণ, অফিস ফাইলপত্র, চিঠিপত্র, জনসাধারণের আদান-প্রদানকারীরা দুর্গন্ধর কারনে আসতে হিমশিম খাচ্ছেন। এখানে প্রতিদিন অফিসিয়াল কাজে শতশত সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অনেক জনসাধারণের আসা-যাওয়া দেখে, হঠাৎ এ প্রতিবেদকের চোখে পড়ে পোস্ট অফিস ভবনটি। ভবনের চারপাশে ঘুরে দেখা যায়, অফিস দেখে ময়লা-আবর্জনার একটি স্তুপ, অফিসের বারান্দা ও খোলা মাঠের আশপাশে মানুষের প্র¯্রাব পায়খানায় ভরাট। যা সামান্য বাতাস হলে চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে উপজেলা পোস্ট মাস্টার এসএম মিজানুর রহমান জানান, পোস্ট অফিসটি বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব খাতের একটি প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে প্রতি বছর উন্নয়ন কর প্রদান করা হয়। এ বিষয়ে পৌরশহরের বাজারবাসীরা প্রায়ই যানেন মলমূত্রত্যাগের মাত্র উপযুক্ত স্থান এই ড্রেইন। সকাল থেকেই একজন, দুজন, একসাথে ৪- ৫ জন এসে মলমূত্র এই ড্রেইনে ত্যাগ করেন। পোষ্ট অফিসের এই রাস্তার পাশে রয়েছে কয়েকটি চা’য়ের দোকান। সেখানে জমে আড্ডা যখন মল-মূত্র ত্যাগের সময় আসে লজ্জ্বা শরমের মাথা খেয়ে বসে যায় মল-মূত্রত্যাগে। রাস্তার পাশে বেশ কয়েকটি চায়ের দোকানের পরিত্যাক্ত ময়লা-আবর্জনার দূর্গন্ধ ছাড়াও এর ভিতর দিয়ে নির্মিত শহরের নোংরা পানি নিঃস্কাষনের ড্রেইন, যার মধ্যে শহরমূখী মানুষের মলমূত্র ত্যাগের ফলে পোষ্ট অফিস ও ফরেস্ট অফিসের রাস্তাটাযেন এক দূর্গন্ধময় এলাকায় পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে প্রয়োজনীয় রনাবেনের অভাবে পোষ্ট অফিসের পাশে আগাছা জন্মে যেন জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, এবিষয়ে কয়েকবার পৌর মেয়র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে জানানো হলেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নেই ব্যবস্থা। তা ছাড়া প্রয়োজনীয় রনাবেনের অভাবেই মানুষ এ পোষ্ট অফিসের পরিত্যক্ত জাগাও রাস্তার পাশে ড্রেইনেজ ব্যবস্থায় যত্রতত্র মল-মূত্র ত্যাগ ও ময়লা আবর্জনা ফেলে পরিবেশ নষ্ট করছে। রাস্তার পাশে বেশ কয়েকটি চা’য়ের দোকানের নোংরা পানি ও ময়লা আবর্জনা সহ কথিপয় ব্যক্তিদের মল-মূত্র ত্যাগের ফলে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এসব স্বীকার করে চুনারুঘাট পৌর মেয়র মোঃ নাজিম উদ্দিন শামসু জানান, এই রাস্তায় অটোরিক্সা চালিত সিএনজি, টমটম, মটরচালিত রিক্সা পার্কিংয়ের বিষয়ে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও জানান, মানুষের মল-মূত্র ও নোংরা ময়লা-অবর্জনায় পরিবেশ নষ্ট রোধে চুনারুঘাটবাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.