হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ বহুল আলোচিত শচীন্দ্র কলেজের নাম পরিবর্তনের অভিযোগের বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিস্কার করেছেন আব্দুল মজিদ খান এম.পি। তিনি এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বলেন, (২য় পৃষ্ঠায় দেখুন) শচীন্দ্র কলেজের নাম অক্ষুন্ন আছে এবং ভবিষ্যতে ভাস্কর হয়ে পৃথিবী যতদিন আছে ততদিন থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন শচীন্দ্র কলেজের গভর্নিং কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খান। গতকাল বিকেলে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক জনার্কীন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে এম.পি নির্বাচিত হওয়ার পর কলেজের গভনির্ং বডির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহন করি। গত ২৫ অক্টোবর কলেজের প্রতিষ্টাতা শচীন্দ্র লাল সরকার সংবাদ সম্মেলনে কলেজের নাম পরিবর্তনে পায়তারার যে অভিযোগ এনেছেন এতে মর্মাহত হয়েছি। এধরনের হীন প্রচেষ্টায় গভর্র্নিং কমিটির কোন সদস্য নেই। প্রতিষ্টানের নামকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত ২০০৪ সালের ২৮ মে অডিট রিপোর্টে “প্রতিষ্টানের নামকরনে ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ের প্রামান্য রেকর্ডপত্র প্রদর্শন করতে হবে, ব্যর্থতায় নামকরনের বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মন্ত্রনালয়ে সদয় দৃষ্টি আর্কষন করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অডিট আপত্তি রিপোর্ট দেওয়ার কারন হচ্ছে ওই সময়ে শচীন্দ্র সরকার কলেজের ভূমি ক্রয়, ভবন নির্মানের খরচের হিসাব যথযথভাবে তৎক্ষালিন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অডিটরের কাছে উপস্থাপন করতে পারেননি। মজিদ খান বলেন অডিটের আপত্তির বিষয়টি অবগত হওয়ার পর অডিট নিস্পত্তিপত্র প্রাপ্তির লক্ষ্যে ও ভবিষ্যতে এ বিষয়ে জঠিলতা নিরসনে গভর্নিং কমিটির সভায় এজেন্ডাভুক্ত করা হয়। একই সাথে শচীন্দ্র বাবুর সাথে যোগাযোগের জন্য সাবেক অধ্যক্ষ নিখিল ভট্টাচার্য ও এডভোকেট সুদীপ কান্তি বিশ্বাসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পুকুরের লীজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০০০ সালে শচীন্দ্র বাবুর সভাপতিত্বে কলেজের উন্নয়নের লক্ষ্যে ৭ সদস্যের পুকুর লীজ প্রদানের একটি কমিটি গঠন করা হয়। তিনি বলেন, লীজের টাকা শচীন্দ্র বাবুর কাছেই রয়েছে। তার সহযোগিতায় অধ্যক্ষ কোন ভূয়া ভাউচার দিয়ে খরচ করার সুযোগ নেই জানিয়ে বলেন, কলেজের সমুদয় টাকা শিক্ষকগনের কমিটি ও অন্যান্য কমিটির মাধ্যমে খরচ হয়ে থাকে। যা পরবর্তীতে গর্ভনিং বডির সভায় সিন্ধান্তে ভাউচার অনুমোদিত হয়। সাবেক অধ্যক্ষকে ১৬ লাখ টাকা অবসর ভাতা দেওয়ার ব্যাপারে মজিদ খান বলেন, শচীন্দ্র বাবুর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাবেক অধ্যক্ষ হরে কৃষ্ণের বিরুদ্ধে একটি অডিট প্রতিষ্টানের মাধ্যমে তদন্ত করা হয়। রিপোর্টে অর্থ আত্মসাতের কোন অভিযোগ না পাওযায় শচীন্দ্র সরকারের উপস্থিতিতে গভর্নিং বডির সভায় তাকে বিদায় দেওয়ার সিন্ধান্ত হয়। সংশ্লিষ্ট বিভাগ সাবেক অধ্যক্ষ হরে কৃষ্ণের নামে চেক ইস্যু করেছে। এক্ষেত্রে কলেজের কোন সংশ্লিষ্টতা থাকেনা। হাবিবুর রহমান ও প্রমোদ সাহাযী নামে দুই শিক্ষক ডিসির সাক্ষর ফ্রজারির কোন সুযোগ নেই। কারন ডিজির প্রেরিত এমপিও শীট অনুযাযী বিল প্রস্তুত করা হয়। যা শিক্ষক/কর্মচারির ব্যাংক হিসেবে জমা হয়। কারোর ইচ্ছা মাফিক বিল করার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকেই কলেজকে ডিগ্রি পর্যায়ে এমপিও ভুক্তকরণ, অনার্স কোর্স চালু, বিএসসি বিবিএস চালুূর ব্যাপারে চেষ্টা করে যাচ্ছি, যা প্রক্রিয়াধীন। ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে একাডেমীক ভবন নির্মানাধীন রয়েছে। এছাড়া শিক্ষকদের শতভাগ উৎসব ভাতা প্রদান যাত্রী চাউনী নির্মান, প্রতিষ্টাতার ভাস্কর্য নির্মানসহ কলেজের উন্নয়নে সক্রিয় সহযোগিতা করে করছি আমি। তিনি বলেন কতিপয় স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি যারা বিভিন্ন সময়ে কলেজের স্বাথের্র বিরুদ্ধে কাজ করে এ প্রতিষ্টান থেকে চাকুরীচ্যুত হয়েছেন কিংবা কলেজের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কাজের জন্য অভিযোগে অভিযুক্ত বা তদন্তাধীন রয়েছে এসব ব্যক্তিরাই প্ররোচনা করে শচীন্দ্র বাবুর মাধ্যমে ভিত্তিহীন বক্তব্য বিগত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা শচীন্দ্র লাল সরকার, গর্ভনিং বডির সদস্য অধ্যাপক নিখিল ভট্টাচার্য, শরীফ উল্লা, এডভোকেট সুদিপ বিশ্বাস, এডভোকেট ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন, আবদাল হোসেন তরফদার, কলেজের অধ্যক্ষ ফরাশ শরীফী প্রমুখ। কলেজের প্রতিষ্টাতা শচীন্দ্র লাল সরকার তার ২৫ অক্টোবরের সংবাদ সম্মেলনের স্বপক্ষে কোন বক্তব্য দেননি।
Leave a Reply