স্টাফ রিপোটার ॥ নবীগঞ্জে সন্ত্রাসীদের হাতে সিএনজি শ্রমিক বেলাল মিয়া হত্যা কান্ডের ঘটনায় ২৯ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে মামলা দায়ের করেন নিহতের পিতা ও সংবাদপত্র এজেন্ট মোশাহিদ আলীর বড় ভাই ফারুক মিয়া। তিনি পুত্র শোকে অসুস্থ থাকায় লিটন মিয়া নামের এক আত্মীয়ের মাধ্যমে রাতে মামলাটি থানায় পৌছান বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে। গত রবিবার বিকালে শহরের শেরপুর রোডস্থ মা-হোটেলের সামনে দাড়ানো অবস্থায় প্রতিপক্ষ রায়েছ চৌধুরী ও সামছু মিয়া’র নেতৃত্বে একদলী সন্ত্রাসী সিএনজি শ্রমিক বেলাল মিয়াকে কুপিঁয়ে রক্তাক্ত জখম করে। মূমুর্ষ অবস্থায় তাকে প্রথমে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রচুর রক্তকরণ হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত সিলেট নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে স্বজনরা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার বেলাল মিয়া কে মৃত ঘোষনা করেন। নিহত বেলাল মিয়া পৌর শহরের নোয়াপাড়া গ্রামের সাবেক পত্রিকার এজেন্ট ও সিএনজি ম্যানাজার ফারুক মিয়ার ছেলে এবং পত্রিকার এজেন্ট মোশাহিদ আলী ও মিয়াধন মিয়ার ভাতিজা। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন কপিন নিয়ে শহরে মৌন মিছিল ও শোক র্যালী বের করে। সোমবার বিকালে জানাযার নামাজ শেষে তাকে নোয়াপাড়াস্থ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তার জানাযার নামাজে সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক, সামাজিক ব্যক্তিবর্গ, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার কয়েক হাজার মানুষ অংশ গ্রহন করেন। এদিকে প্রকাশ্যে দিবালোকে শ্রমিক বেলাল মিয়ার হত্যাকারীরা রয়েছে ধরাছুয়ার বাহিরে। বেলাল হত্যাকান্ডের বিচারের দাবী জানিয়েছেন নোয়াপাড়া গ্রামবাসী ও সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন। নিহত বেলালের পিতা ফারুক মিয়া গত রাতে সামছু মিয়া, রায়েছ চৌধুরী ও আফছর মিয়াকে আসামী করে ২৯ জনের নাম উল্লেখ্য করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সুত্র থেকে নিশ্চিত করেছে। এলাকাবাসী এবং সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন অনতিবিলম্বে বেলাল মিয়া হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসি দাবী করেছেন।
Leave a Reply