প্রেস বিজ্ঞপ্তি : করোনা ভাইরাস বর্তমানে একটি বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশেও এ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনা মোকাবেলাকে একটি যুদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। সেনাবাহিনী প্রধান প্রত্যেক সেনাসদস্যকে এ যুদ্ধে জয়ী হওয়ার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
সারাদেশের সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের অংশ হিসেবে সিলেট বিভাগের চারটি জেলায় (সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ) গত ২৪ মার্চ ২০২০ তারিখ হতে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান বা ওহ অরফ ঃড় ঈরা চড়বিৎ এর আওতায় সেনাসদস্যগণ নিয়োজিত রয়েছেন। জিওসি ১৭ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার সিলেট এরিয়া মেজর জেনারেল মুহাম্মদ যুবায়ের সালেহীন, এসইউপি এর প্রত্যক্ষ নির্দেশনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে ১৭ পদাতিক ডিভিশন সিলেট বিভাগে দায়িত্ব পালন করছে। জিওসি ১৭ পদাতিক ডিভিশন ২০ এপ্রিল ২০২০ তারিখে সিলেট এবং মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে সেনাসদস্যদের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি সিলেট শহরের টোকের বাজার, উপশহর, আখালিয়া এবং মৌলভীবাজার শহরের বিভিন্ন স্থান ও ফেঞ্চুগঞ্জে নিয়োজিত সেনা টহলের বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। পরিদর্শনের সময় তিনি দেশের ক্রান্তিলগ্নে সেনাসদস্যদের নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ারপ্রশংসা করেন এবং কঠিন এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনগণকে আশ্বস্থ করা ও দুর্দশাগ্রস্থ মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য টহলরত সেনাসদস্যদের নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়াও চলমান কার্যক্রমে পেশাগত দক্ষতা ও দায়িত্বশীলতার সাথে কর্তব্য পালনের জন্য সকলকে উদ্বুদ্ধ করেন।
করোনা প্রতিরোধের অংশ হিসেবে সেনাসদস্যগণ মূলত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, যেকোন সমাবেশ বা জনসমাগম প্রতিহত করা এবং বিদেশ প্রত্যাগত ওসন্দেহভাজন সংক্রমিত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণে বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা প্রদান করছে। এ সময় সেনাসদস্যগণ অপ্রয়োজনীয় চলাচল নিয়ন্ত্রণ, অননুমোদিত যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও অবৈধ দোকানপাট বন্ধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করছেন।
এছাড়াও সিলেট বিভাগের ৪০টি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেনাসদস্যগণ দুস্থ জনগণের মাঝে নিয়মিত ত্রাণ বিতরণ করছেন। উল্লেখ্য, সেনা সদস্যগণ নিজেদের জন্য বরাদ্দকৃত রেশন থেকে এ ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
Leave a Reply