স্টাফ রিপোর্টার : করোনায় চিকিৎসক, সেবিকা (নার্স) ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হওয়ার পর হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতাল লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল ২৬এপ্রিল (রোববার) রাতে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্বাবধায়ক আশরাফ উদ্দিন এতথ্য নিশ্চিত করেন। লকডাইনের পর হবিগঞ্জের সদর হাসপাতালের প্রধান ফটকে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।
গত ২৫এপ্রিল (শনিবার) সন্ধ্যায় জেলা সদর হাসপাতালের একজন চিকিৎসক, দুইজন সেবিকা, প্যাথোলজি বিভাগের দুইজন, চালক দুইজন, ব্রাদার দুইজন, দুইজন আয়া ও ঝাড়ুদার করোনা আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন। একই সঙ্গে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ২০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট দেয় আইইডিসিআর। রাতে সিলেটে ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে হবিগঞ্জের আরও দুইজনের নমুনা পরীক্ষায় পজেটিভ আসে।
সিভিল সার্জন ডা. একেএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত জেলা থেকে এক হাজার ২২৩ নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে; যার মধ্যে ৪৭ জনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। শনিবার সন্ধ্যায় সিলেটে শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের এক শিশুর মৃত্যু হয়।
গত ২১ এপ্রিল দুই নার্স ও এক চিকিৎসক আক্রান্ত হলে হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৫ এপ্রিল চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এবারে জেলা সদরের প্রধান হাসপাতাল লকডাউন ঘোষণা কর হলো।
Leave a Reply