জাবেদ তালুকদার : হবিগঞ্জে ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে বজ্রপাত। নবীগঞ্জ ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে তিন কৃষকের মৃত্যুর পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। এছাড়া বানিয়াচং উপজেলায় একটি অগ্নিকাণ্ডে বসতঘর ও কলেজের একটি পরিত্যাক্ত ভবন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
গতকাল বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকাল ৪টার দিকে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণের ঝিলেরবন্দ হাওরে ও নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের বনকাদিপুর গ্রামের হাওরে বজ্রাঘাতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম (২২) ও কপিল উদ্দিন (৪৫) এবং নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের বনকাদিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আকিল মিয়ার ছেলে শাহ আলম (২১)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়- কয়েকদিন আগে ধান কাটার মৌসুমে কাজ করতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসেন কয়েকজন শ্রমিক। তারা আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের মুন্সিহাটির আসমত মিয়ার বাড়িতে ওঠেন। বুধবার সকালে ওই শ্রমিকদল হাওরে ধান কাটতে গেলে হঠাৎ দুপুরের দিকে ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রাঘাত শুরু হয়। এ সময় মনিরুল ও কপিল উদ্দিন বজ্রাঘাতের শিকার হন। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মাইদুল হাছান বজ্রাঘাতে নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই দুই জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ তাদের সহকর্মীরা হাওর থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছেন।
অন্যদিকে নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের বনকাদিপুর গ্রামের হাওরে গরু চরাতে যান শাহ আলম। হঠাৎ করে গরু নিয়ে ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়েন শাহ আলম। গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রাঘাতে শাহ আলমের মৃত্যু হয়।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বজ্রাঘাতে নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া বানিয়াচং উপজেলা সদরের জনাব আলী ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন নূর উদ্দিন মিয়ার বাড়িতে বভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে বসতঘরের একটি অংশ পুড়ে ছাই হওয়ার পাশাপাশি কলেজের একটি পরিত্যাক্ত ভবন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বানিয়াচং ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, বজ্রপাত থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসন নিহতদের পরিবারকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন এবং বজ্রপাতকবলিত এলাকায় সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন।
Leave a Reply